পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( も○ッ ) ক্ষণমাত্র কাল করিলেই সকল পাপ নষ্ট হয় কিন্তু তাহাকেই এই জি জ্ঞাসা করি যে এই প্রায়শ্চিত্তের উপদেশ কাহার প্রতি করেন, যথার্থ তত্ত্ব জ্ঞানিদিগের পাপাভাব প্রযুক্ত তাহাদের প্রতি অসম্ভব”। উত্তর -সর্বজন প্রসিদ্ধ সৰ্ব্ব শাস্ত্র সম্মত ইহা হয় যে জ্ঞানির সিদ্ধাবস্থায় পাপ পুণ্যের সম্বন্ধ তাহার সহিত থাকে না, অতএব ঠুহার ঐ কুলার্ণব বচনের বিষয় কদাপি নহেন ; বেদান্তের ৪ অধ্যায় ১ পাদ ১৩ সূত্র (তদধিগমে উত্তরপূৰ্বাঘয়োরশ্লেষবিনাশে অদ্ব্যপদেশাৎ) ব্ৰহ্মজ্ঞান উৎপন্ন হইলে পূর্ব পাপের বিনাশ ও পর পাপের স্পর্শাভাব ব্যক্তিতে হয়, যেহেতু বেদেতে এই রূপ উপদেশ আছে। কিন্তু জ্ঞান সাধনাবস্থায় পাপের সম্ভাবনা আছে সুতরাং জ্ঞানানুষ্ঠায়িত এবচনের বিষয় হয়েন, যে ক্ষণমাত্রও আত্ম চিন্ত৷ করিলে পাপ হইতে মুক্ত হইবেন ইহার বিশেষ বিবরণ এই দ্বিতীয় উত্তরের ২৫৭ পৃষ্ঠে ও ২৮৫ পৃষ্ঠে লেখা গিয়াছে তাহাব অবলোকন করিবেন। ধৰ্ম্মসংহারক ১৭৭ পৃষ্ঠে ২ পংক্তিতে লিখেন যে এই প্রায়শ্চিত্তের উপদেশ “যদি ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানিদের প্রতি কহেন তবে তাহাও অসম্ভব যেহেতু ব্ৰহ্ম পুবাণ বচনানুসারে তাদৃশ দুষ্ট পাপিষ্ঠদিগের প্রায়শ্চিত্তের দ্বারা শোধন হয় না” এবং ব্রহ্ম পুরাণীয় বচন লিখেন তাহার অর্থ এই যে “অন্তর্গত দুষ্ট যে চিত্ত তাহা তীর্থস্নান করিলেও শুদ্ধ হয় না যেমন জলেতে শত শত বার ধৌত করিলেও স্বরাভা ও অশুচি থাকে" অত্যন্ত ত এই যে ঐ প্রত্যুত্তরের ৬৯ পৃষ্ঠে ৬ পংক্তিতে ধৰ্ম্মসংহীরক লিখিয়াছেন যে “যদ্যপি বৈঞ্চবাদি পঞ্চোপাসক, আপন আপন উপাসনার সর্ব অনুষ্ঠান করিতে অশক্ত হয়েন তথাপি পাপক্ষয় ও মোক্ষ প্রাপ্তি তাহাদিগের অনায়াস লভ্য যেহেতু বিষ্ণু প্রভৃতি পঞ্চ দেবতার নাম মাত্ৰেই সৰ্ব্ব পাপক্ষয় অন্তে মোক্ষ প্রাপ্ত হয়” দেবতার উপাসন বিষয়ে বিশেষ বিশেষ প্রায়শ্চিত্ত ব্যতিরেকেও কেবল তাহদের নাম স্মরণ, নাত্রেই পাপক্ষয় ও মোক্ষ প্রাপ্তি হয় ইহাকে স্তুতিবাদ না কহিয়৷ ধৰ্ম্মসংহারক যথার্থ স্বীকার করেন, কিন্তু জ্ঞান সাধনে কোন পাপ উপস্থিত হইলে তৎক্ষয় বিশয়ে শত শত বচন থাকিলে ও ধৰ্ম্মসংহারক তাহার অন্যথার জন্যে এই প্রকাব চেন্ট সকল করেন যে “অন্তর্গত দুষ্ট য়ে চিত্ৰতাহা তীর্থস্নান করিলেও শুদ্ধ