পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৪৪

( ৩৩৭ ) হয় না" "দুষ্ট চিত্ত লোকের প্রায়শ্চিত্তের দ্বারা শুদ্ধ হয় না এবং দুটাশয় দাস্তিক ও অবশেন্দ্রিয় মনুষ্যকে কি তীর্থ কি দান কি ব্ৰত কি কোন ' আশ্রম কেহ পবিত্র করেন না” । উত্তর –এসকল ব্রহ্ম পুরাষ্ট্ৰীয় বচনকে, নিন্দার্থবাদ না কহিয়া যদি দুষ্ট চিত্ত প্রভৃতির পাপকে বঞ্জ লেপ রূপে ' ধৰ্ম্মসংহীরক স্বীকার করেন, তবে তাহারই মতে দুষ্ট চিত্ত ব্যক্তি সকলেব কি নাম স্মরণে কি আত্ম চিন্তনে এ দুয়ের একে ও তুল্যরূপে নিস্তারাভাব। , ১৭৮ পৃষ্ঠে (ক্রিয়হীনস্য মূৰ্খস্য মহারোগিণ এব চ। সথেষ্টাচরণস্যাহুর্মরণান্তমশেচকং ) এই বচন লিখিয়াছেন। উত্তর --এবচন অবলম্বন করিয়৷ স্ব স্ব ধৰ্ম্মানুষ্ঠায়িকে, ও সার্থ গায়ত্রী বেত্তাকে, ও সুস্থ শরীরকে, শাস্ব বিহিত আচরণ বিশিষ্টকে, ক্রিয়াহীন, মূখ, মহারোগী, মথেষ্টাচারী, কহিতে সকলেই দ্বেষ প্রযুক্ত সমর্থ হয় কিন্তু পরমেশ্বর যেন আমাদিগ্যে (দ্বষ ব্ধি না করেন ৷ ১৭১ পৃষ্ঠের শেষ পংক্তি অবধি লিখেন যে ( পণ্ডিতভিমানি মহাশয় অন্য দুই বচন লিখিয়াছেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে অন্ন দানে স্বর্ণাদি দীনে ব্রহ্ম হতাকৃত মহাপাপ ও ক্ষয় হয় কিন্তু তাহাকেই জিজ্ঞাসা করি সে পুস্তকে লিখিত প্রায়শ্চিত্ত পাপ নাশক কি আচরিত প্রায়শ্চিত্ত পাপ নাশক হয় ) ? উত্তর –আমাদের পূর্ব উত্তরে এমত লিপি কোন স্থানে নাই যাহার দ্বারা ইহা বোধ वृझेण्ड পারে যে পুস্তকে লিখিত প্রায়শ্চিত্তেও পাপক্ষয় হয় অতএব এ প্রশ্ন ধৰ্ম্মসংহারকের সর্বথা অযুক্ত, বস্তুত আমাদের লিখিবার এমত তাৎপর্যা ছিল যে ক্ষুদ্র দোয়ে বৃহৎ পাপ শ্রবণ য়ে স্থানে আছে অর্থাৎ হাচিলে জীব না কহিলে ব্ৰহ্মহত্য পাপ হয়, সেই সেই স্থলে সামান্য দান ও নাম স্মরণ, যাহাতে ব্ৰহ্মহত্যাদি পাপ নাশ হয় কহিয়াছেন, তত্তং পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্থানীয় হইতে পারে অর্থাৎ কেবল পচন প্রাপ্ত ব্ৰহ্মহত্যাদি পাপ প্রায় সামান্য অন্নদান নাম স্মৰণাদিতে যায়, ইহাতে ধৰ্ম্মসংহারকের এরূপ প্রশ্ন সৰ্ব্বদা অযোগ্য হয়, যেহেতু অনেকের অন্নদান ও নাম স্মরণ করা কেবল পুস্তকে লিখিত না হইয়া কৰ্ত্ত হইতে নিপন্ন হইতেছে তাহ ধৰ্ম্মসংহীরক রাগান্ধ হইয়া দেখিতে যদি না পান কিন্তু অন্যের প্রত্যক্ষ বটে ।