পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৮ } নিনা বোধ হইতেছে যেহেতু সেই বচনে তৎপথ বিমুখ ব্যক্তি সকলের প্রতি পাষণ্ড ও ব্রহ্ম ঘাতক ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ এবং পুরাণাদি শাস্ত্রকে অকক্ষীর এবং ষড় দর্শনকে কুপ কহিতেছেন,উত্তমের রীতি এই যে পরের প্রশংসাের দ্বারা আপনিও প্রশংসিত হয়েন অধমে তাহার বিপরীত ৷ ” উত্তর –প্রথমত সাদৃশ্য দ্বারা কোনো শাস্ত্রের প্রতি “অধম” এপদ প্রয়োগ করা অতি অধম ও ধৰ্ম্মসংহারক' হইতেই সম্ভব হয়। দ্বিতীয়ত, পুরাণাদি শাস্ত্রের নিন্দ কথন তন্ত্র শাস্ত্রে আছে তাহার প্রমাণের উদ্দেশে ধৰ্ম্মসংহারক লিখেন যে “সেই বচনে তৎপথ বিমুখ ব্যক্তি সকলের প্রতি পাষণ্ড ও ব্রহ্ম ঘাতক ইত্যাদি শব্দের প্রয়োগ এবং পুরাণাদি শাস্ত্রকে অর্কক্ষীর ও ষড় দর্শনকে কৃপ কহিতেছেন”। উত্তর।—তন্ত্রে দেখিতেছি যে তন্ত্র শাস্ত্র বিমুখ ব্যক্তিকে পাষণ্ড কহেন যথার্থই বটে যেহেতু তন্ত্র বিমুখ ব্যক্তি প্রায় এদেশে অপ্রাপ্য, কিন্তু ধৰ্ম্মসংহীরকের লিখিত পদ্মপু রাণীয় বচন সমূলক হইলে তাহাতে স্পষ্ট শিবশাস্ত্রকে পাষণ্ড শাস্ত্র কহি য়াছেন অতএব বিবেচনা কৰ্ত্তব্য যে সাক্ষাৎ নিন্দোক্তি কোথায় লিখিত আছে। - তৃতীয়ত, যেমন আগমে শিব পথ বিমুখকে পাষণ্ড কহেন সেই রূপ শ্ৰীভাগবতাদি বিষ্ণু প্রধাণ গ্রন্থে বিষ্ণু, ভক্তি বিমুখকে চণ্ডাল ও অন্য উপাসককে দুৰ্ব্বাক্য কহিয়াছেন, এইরূপ মহাত্মা প্রদর্শক নিন্দ বোধক বচনের দ্বারা শ্ৰীভাগবতাদি গ্রন্থ কি অধম হইবেন ? (বিপ্রাদূিষড় গুণযুতদরবিন্দনাভপাদারবিন্দবিমুখাৎ শ্বপচং বরিষ্ঠং । বিনোপসপত্যপরং হি বা লিশ, শ্বালাঙ্গলেনাতিতৰ্ত্তি সR) ভাগবত,তাবং গুণযুক্ত ব্রাহ্মণ যদি বিষ্ণু পাদপদ্ম বিমুখ হয়েন তবে ঠাহ হইতে চণ্ডালকে শ্রেষ্ঠ করিয়া মানি । বিষ্ণুর প্রতি দেবতাদের বাক্য, সৰ্ব্ব শ্রেষ্ঠ ভগবান ব্যতিরেকে অন্যের শর৭াগত যে হয় সে ঘূর্থ কুকুরের লাঙ্গল অবলম্বন করিয়া সমুদ্র পার হইতে বাসনা করে। চতুর্থ, মহেশ্বর মত ত্যাগ করিয়৷ অন্য মত গ্রহণ করিলে সেই মতকে অকক্ষীর তন্ত্র বচনে কহিয়াছেন, ইহা ধৰ্ম্মসংহরক লেখেন বস্তুত এই বাক্যানুসারে ব্যবস্থাও দৃষ্ট হয়, তন্ত্রমত ত্যাগ করিয়া অন্য মতে উপাসনাদি এদেশে কেহ করেন না।) পঞ্চম, ষড়দর্শনকে কৃপশব্দে তন্ত্রে