পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ \రి 4న - ) কহিয়াছেন ধৰ্ম্মসংহারক লিখেন । উত্তর –পরম তত্ত্বকে ত্যাগ করিয়া স্বাহার ষড়দর্শন বাদে রত হয়েন তাহাদের প্রতি ষড়দর্শন কুপ স্বরূপ হইবেন তন্ত্র বচনের এই তাৎপৰ্য্য, ইহাতে ষড়দর্শনের নিন্দ অভিপ্রেত • নহে যেহেতু কুলার্ণবে ষড় দর্শনকে মুক্তি সাধন ও ভগবানের অঙ্গস্বরূপ কহিয়াছেন, কুলার্ণব (দর্শনেষু চ, সৰ্ব্বেষু চিরাভ্যাসেন মানবা । মোক্ষং লভন্তে কোলে তু সদ্য এব ন সংশয়ঃ (তথা) ষড়দর্শনানি স্বাঙ্গানি পাদেী কুক্ষকরে শিরঃ। তেষু ভেদং হি য়ঃ কুৰ্য্যাথমঙ্গচ্ছেদ এব হি) সকল দর্শনেতে চিরকাল অভ্যাসের দ্বারা মনুষ্য মোক্ষ প্রাপ্ত হয় আর কুল ধৰ্ম্মে তৎক্ষণাৎ মুক্ত হয় ইহাতে সংশয় নাই। পাদদ্বয় হস্তদ্বয় উদর ও মস্তক এই আমার ছয় অঙ্গ যড় দর্শন হয়েন ইহাতে যে ভেদজ্ঞান করে সে আমার অঙ্গচ্ছেদ করে । 飘 ২১৭ পৃষ্ঠে ৬ পংক্তি অবধি লিখেন যে “ভাক্তবামাচারী মহাশয় কহেন যে মহা নিৰ্ব্বাণাদি তন্ত্র অসদাগম একারণ অগ্রাহ্য ও অপ্রমাণ হইলেও তথাপি পুরাণাদির মতাবলম্বী ও মহানিৰ্ব্বাণাদির মতাবলম্বী এউভয়েরই তুলা ফল” ইত্যাদি। উত্তর –পূর্ব পূর্ব প্রমাণের দ্বাবা কূল ধৰ্ম্ম বিধায়ক মহানির্বাণ, কুলার্ণবাদির সদাগমত্ব গু শাস্ত্রত্ব সিদ্ধ হওয়াতে একোটি আমাদের প্রতি সম্ভব হয় না,যেহেতু র্যাহারা এসকল কুলধৰ্ম্ম বিধায়ক তন্ত্রাবলম্বী হয়েন তাহদের ইহলোকে ভোগ এবং পরলোকে মোক্ষ প্রাপ্ত দ্বারা ধৰ্ম্মসংহারকের সহিত কদাপি ফলেতে সমান নহে,(যত্রাস্তি ভোগবাহুলাং তত্র মোক্ষস্য কা কথা । মোগেপি ভোগবিরহঃ কোলস্তৃভয়মশ্বতে) অর্থাৎ বৌদ্ধাদি অধিকারে যাহাতে, বিহিতাকুষ্ঠান বিনা ভোগের বাহুল্য আছে, তথায় তথায় মোক্ষের সম্ভাবনা নাই আর যোগাদি অধিকারে মোক্ষ প্রাপ্তি হয় কিন্তু তাহাতে ভোগের অপ্রাপ্যতা পরস্তু কোল ধৰ্ম্মে ভোগ ও মোক্ষ উভয় প্রাপ্তি হয়। তবে যে সকল লোক কেবল যুক্তিতেই নির্ভর করেন তাহদের নিকটে একোটি অন্য কোটি ত্রয়ের সহিত সম্ভব হয়,অৰ্থাৎ যদি কুল ধৰ্ম্ম বিধায়ক তন্ত্রশাস্ত্র এবং আপাতত কুল ধৰ্ম্ম নিষেধক স্মৃতিশাস্ত্র উভয়ই সত্য হয়েন তবে উভয় ধৰ্ম্মাবলম্বিদের পর লোক সিদ্ধ হইবেক, অধিকন্তু কোলের ইহলোকে ভোগ রহিল, যদি উভয় শাস্ত্র মিথ্যা ਝਾਂਜੈ। তাহতে যদ্যপিও উভয় মতাবলম্বি