পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩৬৮ ) এই শেষের লিখিত মন্ত্রবচনে জ্ঞান সাধন ও তাহার উপায় ইঞ্জিয় নিগ্রহ, ও বেদাভ্যাস, এই তিনে যত্ন করিতে বিধি দিয়াছেন ; তাহার প্রথম, পরব্রহ্ম চিন্তন” সে কিরূপ হয়, ইহা পূর্বেই চতুর্থ অধ্যায়ের ২৪ শ্লোকের পরাদ্ধে কথিত হইয়াছে, অর্থাৎ “পঞ্চ যজ্ঞাদি তাবদ্বস্তুর আশ্রয় পরব্রহ্ম হন” এইরূপ চিন্তন করিবেন, যেহেতু ইহার অতিরিক্ত র্তাহার যথার্থ স্বরূপ কদাপি বুদ্ধিগম্য নহে। প্রমাণ, মনু প্রথমাধ্যায়ে । যওঁৎকারণমব্যক্তং নিত্যং সদসদ;তু কং | “সকল জন্য বস্থর কারণ, এবং বহিরিন্দ্রয়ের অগোচর, ও উৎপত্তি নাশ রহিত, এবং সৎ স্বরূপ, ও প্রত্যক্ষাদি তাহার হয় না একারণ অলীক বস্তুর নায় হঠাৎ বোধ হয়, যে এপ্রকার সেই পরমাত্মা হন” • তৈত্তিরীয়শ্রীতিঃ । যতোবাচোনিরর্তন্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ। “মনের সহিত বাক্য যাহার নিরূপণ বিষযে অক্ষম হইয়া নিরক্ত হন” রহদ্বারণ্যক শ্রীতিঃ । অৰ্থাত আদেশোনেতি নেতি । “আদেী বোধ সুগমের নিমিত্ত’ লৌকিক ও অলৌকিক বিশেষণ দ্বারা পরব্রহ্মকে কহিলেন ; কিন্তু তিনি এ সমুদায় বিশেষণ হইতে অতীত হন, এ নিমিত্ত বিশেষণের নিষেধ দ্বারা তাহার নির্দেশ করিতেছেন, যে তিনি বাস্তবিক ইহা নহেন, তিনি বাস্তবিক ইহা নহেন” অর্থাৎ কোনো বিশেষণ দ্বারা তাছার নিরূপণ স্বইতে পারে না । ঐ ময়ুবচনে প্রথম উপায় “শম” ইন্দ্রিয়ের নিগ্রহ, অর্থাৎ রূপ, রস, গন্ধ, শব্দ, স্পর্শ এই পঞ্চ বিষয়কে চক্ষু, জিহবা, স্বাণ, কর্ণ, ও ত্বক এই পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়ের সহিত এই প্রকার সম্বদ্ধ করিতে যত্ন করবেন যাহাতে পরপীড়ন না হয় ও স্বীয় বিঘ্ন না জন্মে । , দ্বিতীয় উপায়, প্রণব উপনিষদাদি বেদাভ্যাস, অর্থাৎ প্রণব এবং *একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রহ্ম” ইত্যাদি উপনিষদ্বাক্যের অভ্যাস ও তদৰ্থ চিন্তন ইহাতে যত্ব করিবেন। { প্রণব প্রকরণে, মনুঃ দ্বিতীয় খাধ্যায় ৮৪ শ্লোক ।