পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩৮১ ) পরমাত্মনে নমঃ । বজ্ৰসূচীনাম গ্রন্থের ভাষা বিবরণ। ? অজ্ঞানের নাশ করেন এমত রূপ বজ্রস্থচ নামে শাস্ত্ৰ কহিতেছি যে , শাস্ত্র অজ্ঞানিদের দৃষণ আর জ্ঞানিদের ভূষণ হন। 电 ব্রাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য শূত্র চারি প্রকার বর্ণ ব্যবহার প্রাপ্ত হইয়াছে তাহার মধ্যে ব্রাহ্মণের স্বরূপ অর্থাৎ ব্রাহ্মণ কি ইহা প্রথমত বিচারণীয় হয়, যেহেতু ব্ৰাহ্মণ সকল বর্ণের গুরু ইহা শাস্ত্ৰ কহেন। ব্রাহ্মণ শব্দে কাহাকে কহি,কি জীবাত্মা, কি দেহ, কি জাতি,কি বর্ণ, কি ধৰ্ম্ম, কি পাণ্ডিত্য, কি কৰ্ম্ম, কি জ্ঞান । যদি বল জীবাত্মা ব্রাহ্মণ হন, তাহাতে সৰ্ব্ব প্রকারে দোষ হয়। প্রথমত সৰ্ব্ব প্রাণির জীবকে এক স্বরূপ স্বীকার করিলে সৰ্ব্ব প্রাণির ব্রাহ্মণত্ব সম্ভব হইল। দ্বিতীয়ত শরীর ভেদে জীবাত্মা ভিন্ন ভিন্ন হন ইহা অঙ্গীকার করিলে, ইহজন্মে যে জীব ব্রাহ্মণ আছেন তেহঁ কৰ্ম্মীধন জন্মান্তরে শূদ্র দেহ প্রাপ্ত হইলে তাহাব শূদ্রত্ব তবে না হউক। তৃতীয়ত ব্রাহ্মণ রূপে যে দহকে ব্যবহার করা যাইতেছে তাহাতে যে জীব আছেন তিনি ব্রাহ্মণ হন এমত কহিলে, বাহ্মণত্ব কেবল ব্যবহার মূলক চইল পরমার্থত কিছুই নহে ইহা অঙ্গীকার করিতে হইবেক । আর ব্রাহ্মণ বেশধারী কোন এক শূদ্র যাহার জাতি ও কুল জ্ঞাতসার নহে কিন্তু ব্রাহ্মণ রূপে আপনাকে ব্যবহার করাইয়াছে তাহার ব্রাহ্মণত্ব কেন না হয় এবং

তাহার সহিত এক পংক্তি ভোজন ও এক শয্যা শয়ন উপবেশনাদি যাহা , , শাস্ত্রে নিষিদ্ধ হইয়াছে তা হা করিলে পাপোৎপত্তির বাধক কি ; অতএব জীবাত্মার ব্রাহ্মণস্ব কদাপি সম্ভব নহে । যদি বল দেহ ব্রাহ্মণ হয়, তবে আচণ্ডাল মনুষ্য সকলের দেহ ব্রাহ্মণ হইল, যেহেতু মূৰ্ত্তিতে ও জরা মরণাদি ধৰ্ম্মেতে সকল দেহ তুল্য হয়। অধিকন্তু ব্রাহ্মণ এক শত বর্ষ বাচেন, তাহার অদ্ধেক ক্ষত্রিয়, তাহার অৰ্দ্ধেক বৈশ্য, তাহার অৰ্দ্ধেক শূদ্র বাচেন, এমত নিয়মও নাই যাঁহার দ্বারা অন্য দেহ অপেক্ষ ব্রাহ্মণ দেহের বৈলক্ষণ জানা যায়। আর দেহকে ব্রাহ্মণ কহিলে পিতামাতার মৃত দেহকে দাহ করিলে পুত্রের