পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৪৩০

( ,8२७ ) মননাদেনিঃশ্রেয়সাবাপ্তিরৈকান্তিকীতি পরমারধ্যেস্য মহেশ্বরস্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞাপি সফলাসীৎ | আত্মানাত্মনোঃ সত্যামৃতত্বে প্রদর্শয়ন্তোলোকানায়শ্রবণমনননিদিধ্যাসনেষু, প্ৰবৰ্ত্তয়স্তে বেদান্তগ্ৰগ্নিতশব্দ যথা নিঃশ্রেয়সহেতবোভবস্তি তথৈব তমেবাৰ্থং প্রবদতাং স্মৃত্যাগমপুস্তৃতীনাং তত্ত্বচ্ছে - ভূভো নিঃশ্রেয়সপুদাতৃত্বং যুক্তমপীতালমতিজপলেন। ইতি । ༤༥་་་རྨི་ ও তৎসং, যে ব্রাহ্মণের সাঙ্গ’বৈদtধ্যয়ন না করেন, তাহার ব্রাত্য, অর্থাৎ অরাহ্মণ হয়েন, ইহা প্রতিপন্ন করিবার ইচ্ছা করিয়া ব্রাহ্মণধৰ্ম্ম তৎপর ত্রযুক্ত সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রী যে পত্র সাঙ্গ বেদ পাঠ হীন, অনেক এতদেশীয় ব্রাহ্মণেরদের নিকটে পাঠাইয়াছেন, তাহাতে দেখিলাম, যে তেহ লিখিয়াছেন, “বেদাধ্যয়ন হীন ব্যক্তিরদের স্বর্গ এবং মোক্ষ হইতে পারে না, আর যে ব্যক্তি বেদাধ্যয়ন করিয়াছে, তাহারি কেবল ব্রহ্মবিদ্যাতে অধিকার, এবং ব্ৰহ্মজ্ঞান জন্মিবার পূর্ব বেদোক্ত এবং স্মৃত্যুক্ত কৰ্ম্ম অবশ্য কৰ্ত্তব্য হর,” আর এ সকল বাক্য যাহা তারাহ্মণত্ব প্রতিপন্ন করিবাতে সম্পর্ক রাখে না, তাহার দ্বারা ইহা প্রক্তিপন্ন করিতে ইচ্ছা করিয়াছেন, যে ব্রহ্মযজ্ঞ দেবযজ্ঞ প্রভৃতি বর্ণাশ্র" কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে ব্ৰহ্মজ্ঞান হইতে পারে না, ইহা উপলব্ধি করিয়া আমরা উত্তর দিতেছি, ব্রহ্মবিদ্যার প্রকাশের নিমিত্ত বর্ণাশ্রম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান কৰ্ত্তব্য বটে, যে হেতুক একথা বেদাদি শাস্ত্রের সহিত বিরুদ্ধ নহে, সুতরাং আমরাও ইহা স্বীকার করে; কিন্তু ইহ সৰ্ব্বথ অমান্য হয়, যে বর্ণাশ্রম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে ব্রহ্মজ্ঞানের উৎপত্তি হয় না, যে হেতুক ভগবান বেদব্যাস বর্ণাশ্রম কৰ্ম্মইন ব্যক্তিরদেরও ব্রহ্মবিদ্যাতে অধিকার আছে, ইহা সূত্রে লিখিয়াছেন, সে এই দুই সূত্র । অন্তরাচাপিতু তদন্টে । অপিচ স্মৰ্য্যতে । এবং এই দুই সূত্রের বিবরণ ভগবান ভাষ্যকার করিয়াছেন, “অগ্নি ইন ব্যক্তি সকল, এবং দ্রব্যাদি সম্পত্তি রহিত ব্যক্তি সকল, যাহারদের