পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

838 ) কোন বর্ণাশ্রম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান নাই, এমত রূপ অনাশ্রমি ব্যক্তিরদের বিদ্যাতে অধিকার অাছে, কিম্বা নাই,এই সংশয়ে আপাতত জ্ঞান এই হয়, যে আশ্রম কৰ্ম্ম হীন ব্যক্তিরদের বিদ্যাতে অধিকার নাই, যে হেতুক - বিদ্যার প্রতি আশ্রম বিহিত কৰ্ম্ম কারণ হয়; আর ঐ সকল ব্যক্তিরদের আশ্রম কৰ্ম্মের সস্তাবনা নাই, এই পূৰ্ব্বপক্ষে বেদব্যাস সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, অনাশ্রমি ব্যক্তিরাও ব্রহ্মবিদ্যাতে "অধিকারী হয়, যে হেতুক রৈক, বাচকুৰী, প্রভৃতি আশ্রম কৰ্ম্ম হীন ব্যক্তি সকল্লেবও ব্রহ্ম জ্ঞানের প্রাপ্তি হইয়াছে, ইহা বেদেদেখিতেছি; আর সর্বদা বিবস্ত্র থাকিতেন, এ প্রযুক্ত বর্ণাশ্রম কৰ্ম্ম হীন যে সম্বর্ত প্রভৃতি, তাহারদেরও মহা যোগিত্ব ইতিহাসে দেখিতেছি,” এবং ব্রহ্মবাদিনী, মৈত্রেয়ী, প্রভৃতি স্ত্রী সকল, র্যাহারদের বেদাধ্যয়নের অধিকার কদাপি সম্ভব নহে, তাহারদেরও ব্রহ্মবিদ্যাতে অধিকার আছে, ইহা o তযোহঁ মৈত্রেয়ী ব্রহ্মবাদিনী বভূব । এবং, আত্মা বা অরে দ্রষ্টব্যঃ । ইত্যাদি শ্রুতিতে বুঝাইয়াছে; আর স্থলভাদি স্ত্রী সকল ব্রহ্মজ্ঞানী ছিলেন, ইহা স্মৃতিতে এবং ভাষ্যেতে দেখিতেছি, এবং শূদ্র যোনিতে জন্মিয়াছিলেন, এ প্রযুক্ত বেদাধ্যয়ন হীন যে বিস্তুর, ধৰ্ম্মব্যাধ, প্রভৃতি তাহারাও জ্ঞানী ছিলেন ইহা ইতিহাসে দেখিতেছি অতএব যাহারা বেদাধ্যয়ন করিয়াছেন, কেবল তাহারদেরি ব্রহ্মবিচারে অধিকার, এই যে নিয়ম আপনি করিয়াছেন, তাহাতে ঐ সকল শ্রুতি স্মৃতির আলোচনা করেন যে সকল ব্যক্তি, তাহারা, কদাপি শ্রদ্ধা করিবেন না, আর শ্রবণাধ্যয়ন ইত্যাদি এই সূত্রের বিবরণেতে শূদ্রাদির ব্রহ্মবিদ্যার অধিকার আছে কি না, এই সংশয় দূর করিবার নিমিত্তে ভগবান ভাষ্যকার লিখেন, যে “ইতিহাস পুরাণ আগমেতে চারি বর্ণের অধিকার আছে, ইহ স্মৃতিতে লিখেন, অতএব ইতিহাস পুরাণ আগম সামান্যত চারি বর্ণেতে ব্ৰক্ষুবিদ্যা প্রদান করিতে পারেন, ইহা ভগবান ভাষ্যকার সিদ্ধান্ত করি য়াছেন, অতএব ব্রহ্মযজ্ঞাদি বর্ণাশ্রম কৰ্ম্ম হীন ব্যক্তিরদের ব্রহ্মবিদ্যাতে অধিকার আছে, ইহা ভগবান বেদব্যাসের সিদ্ধান্ত দ্বারা, আর বেদাধ্যয়ন