পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ 8७० ) মেন যে এ মতকে গৌরব করিলে ঈশ্বর ও মায় এ দুয়ের সমান নিত্যতা ও প্রধাম্য হয় তাহীতে কিঞ্চিৎ নিবেদন করিতেছি কি বেদাস্তবাদী কি খ্রিষ্টান কি মেছিলমান র্যাহারা ঈশ্বরকে নিত্য কছেন তাহারা ঈশ্বরের তাবৎ শক্তিকেও নিত্য কহেন স্বষ্টির কারণ ঈশ্বরের শক্তি মায় হয়েন অতএব শক্তিমানকে নিত্য করিয়া বেদান্ত জানেন সুতরাং শক্তিকেও নিত্য কহেন “ নিঃসত্তা কাৰ্য্যগম্যাস্য শক্টিৰ্মীয়াগ্নিশক্তিবং ” বেদাস্ত প্লুত বচন । এরূপ কথনে যদি দোষ হয় তবে এ দোষ সৰ্ব্ব সাধারণ হইবেক কেবল বেদান্ত পক্ষে হয় এমত নহে । সেই রূপ শক্তি হইতে শক্তিমানের প্রাধান্য কি বেদান্ত কি অন্য অন্য শাস্ত্রে ও লোক দৃষ্টিতে সকলেই স্বীকার করেন অতএব উভয়ের সমান প্রাধান্য বেদাস্তুে কোনো মতে অঙ্গীকার করেন না যে আপনি দোষ দিতে পারেন । দ্বিতীয় প্রকার দোষোল্লেখ করেন যে এক আত্মা হইলে অর্থাৎ জীব ও পরমেশ্বর এক হইলে জীবের কৰ্ম্ম জন্য হিতাহিত মান আশ্চৰ্য্য হয় অর্থাৎ সে ভোগ ঈশ্বরের মানা হয় । উত্তর –প্রপঞ্চ মায়া কাৰ্য্য জড় স্বরূপ হয় পরমাত্মা চিদাত্মক ঐ জড় স্বরূপ নানা প্রপঞ্চে প্রতিবিম্বিত হইয়াছেন যেমন নানাশরাস্থিত জলে এক সূর্য্যের অনেক প্রতিবিম্ব দেখা যায় সেই সেই প্রতিবিম্ব জলের কম্পন দ্বারা কম্পিত অনুভূত হয় কিন্তু সেই জলের কম্পনেতে সূৰ্য্য কাপেন না সেই প্রকার প্রপঞ্চেতে জীব সকল চিদায়ার প্রতিবিম্ব হয়েন অতএব জীবের হিতাহিত ভোগ পরমেশ্বরে স্পর্শ করেন যেমন জলের নিৰ্ম্মলতাতে 'কোনো কোনো প্রতিবিম্ব স্বচ্ছ দৃষ্ট হয় ও জলের মলিনতাতে কোনে। কোনো প্রতিবিম্ব মলিন হয় সেই রূপ প্রপঞ্চ ময় শরীরে ঐ ইঞ্জিয়াদির স্ফৰ্ত্তির দ্বারা কোনো কোনো'জীবের স্ফৰ্ত্তির আধিক্য আর ঐ সকলেৰ মলিনতার দ্বারা কোনো কোনো জীবের স্ফৰ্ত্তির মলিনত হয়। আর সূর্যোব প্রতিবিম্ব বস্তুত তেজঃ পদার্থ না হইয়াও তেজঃ পদার্থের প্রতিবিম্ব তার দ্বার তেজস্বী দেখায় সেই রূপ জীব সাক্ষাৎ চিদাত্মক ন হইয়াও চিদাজার প্রতিবিম্বিত প্রযুক্ত চেতনাত্ম বুঝায় ও চেতনের আচরণ করে আর যেমন নানা শরাস্থিত জলের সহিত এক সুৰ্য্যের বিশেষ সম্বন্ধের দ্বার