পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৪৬১ } নানা প্রতিবিম্ব উপস্থিত হইয়! ওই সকলকে স্থৰ্য্যের ন্যায় অথচ সূৰ্য্য হইতে পৃথক ধৰ্ম্ম বিশিষ্ট দেখয় পুনরায় সেই সেই জলের অন্যথা হইলে প্রতিবিম্ব আর থাকে-না সেই রূপ আত্মা এক তাহার মায়া প্রভাবে প্রপঞ্চে নানাবিধ চেতনাত্মক জীব পৃথক পৃথক হইয়া আচরণ তু কৰ্ম্ম ফল ভোগ করে পুনরায় সেই সেই প্রপঞ্চ ভঙ্গ হুইলে প্রতিবিশ্বের ন্যায় আর ক্ষণ মাত্রে পৃথক রূপে আত্মার সহিত থাকেন৷ অতএব আত্মা এক ও জীব যদ্যপীও বস্তুত তাহ হইতে ভিন্ন না, ইয়েন তথাপি জীবের ভোগাভোগে আত্মরি-ভোগাত্তোগ হয় না । তৃতীয় প্রকার দোষোল্লেখ করেন “ আত্মার নিরাময়ত্ব ও অখণ্ডত্ব সম্পাদনে দোষ পড়ে ” কি নিমিত্ত দোষ পড়ে তাহার বিবরণ লিখেন ন৷ অতএব তাহার হেতু লিখিলে বিবেচনা করিব যদি আপনকার এ অভিপ্রায় হয় সে আত্মার স্বরূপ জীব হইয়া আত্মা হইতে নিঃস্থত হইলে আত্মার নিরাময়ত্ব ও অখণ্ডত্ব সন্তবে না। তবে উপরের উত্তরে মনোযোগ করিবেন যে প্রতিবিম্বের সত্তা সূর্য্যের সত্তাতেই হয় এবং সূর্য্যকে অবলম্বন করিয়া স্থিতি করে .ও সূৰ্য্যতে পুনরায় লীন হইতেছে ইহাতে স্থৰ্য্যের অখণ্ডত্বে নিরাময়ত্বে দোষ পড়ে না । অধিকস্ক লিখেন যে বেদান্তে কহেন যেমন জলের বুদ্ধ,দ উঠিয় পুনরায় ঐ জলে লীন হয় সেই রূপ মায়ার দ্বারা আত্মাতে জগতের উৎপত্তি স্থিতি লয় বারংবার ছয় ইহাতে মায়ার বল আত্মাতে স্বীকার করিলে ঈশ্বর নির্দোষ থাকেন না । উত্তর--এস্থলে বেদান্ত বাদির দৃষ্টান্ত এই অংশে দেন যে ধেমন জলকে অবলম্বন করিয়া বায়ু দ্বারা বুদ্ধদের উৎপত্তি স্থিতি হয় সেই রূপ ঈশ্বরকে অবলম্বন করিয়া ঈশ্বরের শক্তির দ্বারা জগতের উৎপত্তি স্থিতি হইতেছে দ্বিতীয়ত যেমন বুদ্ধ দ অস্থায়ি সেই রূপ জগৎ অস্থির হয় । ব্যান্ত্রের ন্যায় অমুক ব্যক্তি ইহাতে সাদৃশ্য কেবল দৰ্প ও পরাক্রমাংশে হয় চতুস্পাদাদি সৰ্ব্বাংশে দৃষ্টান্ত হয় না সেই রূপ এখানেও স্বীকার করেন তবে সৰ্ব্বাংশে দৃস্টান্ত হইলে ঈশ্বরকে জল পুঞ্জের ন্যায় জড় স্বীকার করিতে হয় ও জগৎকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলীয়াংশ স্বরূপ, তাহার বিকার মানিতে হয়