পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ 8७२ ) কখন কখন ঐ জগৎ ঈশ্বরের বহিস্তনের উপরে ফিরিবেক ও কখন কখন তাহার সহিত একত্র হয় যাহাদের কেবল দোষ দৃষ্টি তাহারাই এরূপ সর্বাংশ দৃষ্টান্ত মানিয়া মালার দল আত্মার উপর হইতেছে এই দোষ দিতে উৎসুক নতুবা ঈশ্বরের শক্তি মায়া তাহার দ্বারা জগতের উৎপত্তি স্থিতি লয় হইতেছে ইহাতে ঈশ্বরের উপর মায়ার বল কোনো পক্ষপাত রহিত বিজ্ঞ লোক স্বীকার করিবেন না যেহেতু যে কোনো জাতীয় ও দেশীয় ব্যক্তি ঈশ্বরকে জগতের স্রস্টা’কহেন তাহারা সকলে মুনেন যে স্বষ্টি রুরিবার শক্তি ঈশ্বরে আছে সেই শক্তি দ্বার স্বষ্টি হয় কিন্তু সেই শক্তির বল ঈশ্বরের উপর হয় এমৎ তাহারদের কেহ অদ্যপি দেখিতে পান না । পাপী ব্যক্তি মনস্তাপ করিলে ঈশ্বর করুণ শক্তি দ্বারা মার্জন করেন ইহাতে করুণশক্তি ঈশবের উপর প্রবল হয় এমৎ নহে । বেদান্তবাদির মায়াকে অজ্ঞান কহেন যে হেতু জ্ঞান হইলে মায়ার কার্য্য যাহার দ্বার ঈশ্বর হইতে জীব সকল পৃথক দেখায সে কাব্য আর থাকে না অর্থাৎ জ্ঞানের দ্বারা নিরক্ত হয়। মায় শব্দের প্রমোগ মুখ্য রূপে ঈশ্বরের জগৎ কারণ শক্তিতে ও গৌণ রূপে ঐ শক্তির কার্য্যেতে হয় । বৰ্জ্জুতে যে সর্প ভ্রম হয় তাহার সহিত জগতের দৃস্টান্ত বেদান্তে দেন ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে ভ্ৰম সৰ্পের ন্যায় জগতের স্বতন্ত্র সত্তা নাই পরমেশ্বরকে অবলম্বন করিয়া জগৎ সত্তা বিশিষ্ট হয় সেই রূপ জগতকে স্বপ্নের সহিত সাদৃশ্য দেন যেমন স্বপ্ন দৃষ্ট বস্তু সকল জীবের সত্তার অধীন হয় সেই রূপ জগৎ, পরমেশ্বরের সত্তার অধীন অতএব জীব হইতে ও সকল হইতে প্রিয় পরমাত্মাই সৰ্ব্বথা হয়েন আর বেদান্তে ঈশ্বর ভিন্ন বস্তু ন ই ঈশ্বর সকল । ও ঈশ্বর সকলেতে ইহা কহেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই নে যথার্থ সত্তা কেবল পরমেশ্বন্ধের হয়'অতএব ঈশ্বর কেবল সত্য ও সৰ্ব্বব্যাপি অন্য তাবৎ অসত্য। ঈশ্বর সকল ও সকলে ব্যাপক এমং প্রয়োগ খ্রিস্টানদের কেতা বেও শুনিতে পাই তাহার তাৎপর্যা বুঝি এমং ন কহিবেন , যে ঘট পট সকুল ঈশ্বর বরঞ্চ তাৎপর্য্য এই হইতে পারে সে তিনি সৰ্ব্ব ব্যাপক অতএব মিথ্যা বাক কলহের বলে বেদান্তে কেন দোষ দেন । - জড়াত্মক মায়া কাৰ্য্য এই জগৎ হয় ও পরমেশ্বর চৈতনা স্বরূপ হয়েন