পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৪৭৫ ) এমতে ঈশ্বর ও মনুষ্য এই দুই জাতিবাচক শব্দের মধ্যে এই মাত্র প্রভেদ হইবেক যে মনুষ্যত্ব জাতির আশ্রয় অনেক ব্যক্তি আর ঈশ্বরত্ব জাতির আশ্রয় মিঈনরিদের মতে তিন ব্যক্তি হয়েন র্যাহাঁদের অধিক শক্তি ও সত্ত্ব স্বভাব হয় কিন্তু কোনো এক জাতির আশ্রয় ব্যক্তি যদি সংখ্যাতে অলপ হয় এবং শক্তিতে অধিক তথাপি জাতি গণনার মধ্যে অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবেক । জগতের, বিচিত্র রচনার সূক্ষম দর্শিদের নিকটে প্রসিদ্ধ আছে যে এক পাঠান মৎস্যের গৱে যত ডিম্ব জন্মে তাহা হইতে মনুষ্যত্ব জাতির আশ্রয় সমুদায় ব্যক্তিরা গণনায় স্থান সংখ্যা হয় এবং শক্তিতে অতিশয় অধিক হয় এ নিমিত্তে মনুষ্য শব্দের জাতি বাচকত্বে কোন ব্যাঘাত হয় এমত নহে । * আমরা প্রত্যক্ষ দেখিতেছি যে মনুষ্যত্ব জাতির আশ্রয ব্যক্তি দেবদত্ত যজ্ঞদত্ত প্রভৃতি যদাপিও পিণ্ডেতে পৃথক পৃথক কিন্তু মহুষ্যত্ব স্বভাবে এক হয় সেইরূপ আপনকার মতে ঈশ্বরত্ব জাতির আশ্রয় তিন ব্যক্তি পৃথক পৃথক হইয়াও ঈশ্বরত্ব স্বভাবে এক হয়েন অর্থাৎ পিতা ঈশ্বর ও পুত্ৰ ঈশ্বর ও হোলিগোট ঈশ্বর। আপনারা কহেন যে ঈশ্বর এক হয়েন সেকি এইরূপে এক কহিয়া থাকেনু কি আশ্চর্য্য । এরূপ র্যাহাঁদের মত র্তাহার কিরূপে হিন্দুকে অনেক ঈশ্বরবাদি দোষ দিয়া উপহাস করেন যেহেতু হিন্দুরা অনেকে কহেন যে ঈশ্বর তিন হইতে অধিক হইয়াও বস্তুত ঈশ্বরত্ব ধৰ্ম্মে সকলে এক হয়েন ॥ আমার তৃতীয় প্রশ্ন এই ছিল যে “আপনারা ঈশ্বরকে এক কহেন অথচ কহেন পিতা ঈশ্বর ও পুত্র ঈশ্বর ও হেলিগোট ঈশ্বর” ইহ। আপনি . স্বীকার করিয়া লিখিয়াছেন যে “বায়বেলে পিতা ও পুত্র ও হোলিগোস্ট এই তিনকে এক ঈশ্বরীয় স্বভাব ও পরিপূর্ণ করিয়া কহেনু এবং কহেন যে যদ্যপিও তাহারা তিন পৃথক ব্যক্তি হয়েন তথাপিও এক স্বভাব ও এক ধৰ্ম্মী হয়েন ও বায়বেলে মনুষ্যের প্রতি আজ্ঞা দেন যে ঐ প্রত্যেক ঈশরকে আরাধনা করিবেক” অধিকন্তু আপনি লিখেন যে বায়বেলে কহেন “পিতা ও পুত্র ও হেলিগোষ্ট তুল্য রূপে প্রসন্নতা ও স্বচ্ছন্দত মনুষকে দেস ও তুল্য রূপে মন্থয্যের অপরাধ ক্ষম করেন” কিন্তু যাহা আমি জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম যে ইহা যুক্তি সিদ্ধ কিরূপে হয় তাহাব ছদাংশে নগিয়া