পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8१७ ) , ধরঞ্চ স্বীকার করিয়াছেন যে ইহাতে কোনো যুক্তি নাই এবং অযুক্তি সিদ্ধ ক্রটি বায়বেলে নিক্ষেপ করিয়াছেন যেহেতুকহেন যে “বায়বেল যদ্যপিও * - এসকল বৃত্তান্ত স্পষ্ট কহিয়াছেন তথাপি আমাদিগ্যে জানান নাই যে কিরূপে পিতা ও পুত্র ও হেলিগোট স্থিতি করেন ও কিরূপে তিনেতে এক হয়েন” আর আপনি লিখেন যে “যদ্যপিও বায়বেল আমাদিগ্যে জানাইতেন তথাপি আমাদের.নিশ্চয় হয় না যে আমরা বোধগম্য করিতে পারিতাম। অতএব আপনকাকে ও অন্য মিসনরিদিঞ্জে বেদান্ত ও অন্য অন্য শাস্ত্রে অযুক্তি সিদ্ধ দোষ সমাচার ਜੋਂ প্রকাশ করিবাব পূর্বেই বিবেচনা করা উচিত ছিল সে তাহদের মূল ধৰ্ম্ম এরূপ অযুক্তি সিদ্ধ হয় যেহেতু এরূপ বিবেচনা প্রথমে করিলে আপনার মূল ধৰ্ম্ম অযুক্তি সিদ্ধ হয় ইহা স্বীকার করিবার মনস্তাপ পাইতেন না । তথাপি আপনি ঐ মতু যাহা সৰ্ব্বথা যুক্তির এবং প্রমাণের বিরুদ্ধ হয় তাহাতে লোকের নিষ্ঠ জন্মাইবার নিমিত্ত লিখিয়াছেন সে “যে সকল বস্তু আমাদের নিকট ও মধ্যে আছে ও যাহার বিশেষ উপলব্ধি আমাদের হয় নাই অথচ আমরা তাহার সত্ততে কোনে সন্দেহ করি না। যেমন রক্ষের চার ও রক্ষ সকল কি রূপে মৃত্তিক হইতে রস গ্রহণ করে ও সেই রস পত্রে ও পুষ্পে ও ফলে প্রদান করে ইহার বিশেষ কারণ ন জানিয়াও লোকে বিশ্বাস করে এবং কিরূপে জীব শরীরেৰ অধ্যক্ষ হয়েন যে আপন ইচ্ছাতে মনুষ্য মস্ত কের উপব হস্ত প্রদান করে আর কিরূপে এই দেহকে অত্যন্ত শ্রমে -- নিয়োজিত করে এ সকল বস্তুর কারণ না জানিয়াও বিশ্বাস করা যায় য{হ আমাদিগো বেষ্টিয়া আমাদের মধ্যে আছে অতএব ইহাতে আমরা অস ন্তোষ জানাইতে পারি না যে তিন ঈশ্বরে এক ঈশ্বর ধিনি হয়েন তিনি আপনার অনন্ত ও সর্বোৎকৃষ্ট স্বভাব দ্বারা কি বিশেষ রূপে স্থিতি করেন .তাহ আমাদিগ্যে জানাইবার নিমিত্ত লঘুতা স্বীকার করেন নাই" আমি আশ্চৰ্য্য বোধ করি যে আপনি কিম্বা কোনো সাধারণ জ্ঞানবা ব্যক্তি এই সাদৃশ্যের অত্যন্ত ভাযোগ্য ও অসংলগ্ন হওয়াকে উপলব্ধি করিতে না পারেন অর্থাৎ যে সকল বস্তু আমাদিগে, বেষ্টিয়া ও আমাদের মধ্যে থাকে ও ভিন্ন ঈশ্বরের এক হওয়৷ মাই আমাদিগ্যে বেষ্টিয়া ও আমাদের মধ্যে