পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৪৮৪

( 8११ ) কি থাকিবেন কেবল খ্রিস্টানেদের মনঃকল্পনাতে আছেন এই দুয়ের সাদৃশ্য কি প্রকারে হইতে পারে। রক্ষাদির বৃদ্ধি ও পত্র ও পুষ্পকে উৎপন্ন করা ও শরীরের উপর জীবের অধ্যক্ষত সেই প্রকার, হয় যাহা আমাদিগ্যে বেষ্টিয়া ও আমাদের মধ্যে থাকে এবং কি খ্রিস্টান কি খুটান ভিন্ন সকলের সমান রূপে প্রত্যক্ষু সিদ্ধ হয় এবং যাহার ইন্দ্রিয় আছে সে কদাপি ইহাকে অস্বীকার করিতে পারে না যদ্যপিও কিরূপে ও কি নিয়মে রক্ষাদির বৃদ্ধি ও জীবের অধক্ষতা তাহা বিশেষ রূপে উপলব্ধি হয় না । কিন্তু ঐ সকল বস্তুর দ্বারা ইহা সিদ্ধ হয় যে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ সিদ্ধ ও প্রত্যক্ষ মূলক প্রমাণ সিদ্ধ বস্তু সকল আমাদিগ্যে বলাৎকারে সেই সকল বস্তুতে নিশ্চয় করায় । অতএব জিজ্ঞাসা করি যে রক্ষের বৃদ্ধির ন্যায় ও জীব সংক্রান্ত শরীরের ন্যায় ঐ তিন ঈশ্বরের ঐক্যতা কি আমাদিগ্যে বেষ্টিয়া কি আমাদের মধ্যে আছে আর কি তাহারা বহিঃস্থিত বস্তুর নলুয় খ্রিস্টানদের ও খ্রিস্টান ভিন্ন ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সিদ্ধ হয়েন। কি তাহার উত্তর দেশীয় হিম পৰ্ব্বতের ন্যায় হয়েন যাহা যদ্যপিও আমি দেখি নাই কিন্তু তাহার দ্রস্টাদের প্রমুখাৎ শুনিয়াছি এবং অন্য কোনো দ্রষ্টা তাহার খণ্ডন করে নাই ও যাস্থ সকলের দেখিবার সম্ভব হয় । যদি এ প্রকার হইত তবে আমবা রক্ষের ন্যায় ও জীব সংক্রান্ত দেহের ন্যায়ও ছিম পৰ্ব্বতের ন্যায় তিন ঈশ্বরে এক ঈশ্বর হওয়াকেও বিশ্বাস করিতাম কদাপিও উপলব্ধির বহির্ভূত ও উপলব্ধিৰ বিপরীত হয়। অভিপ্রায় করি যে খ্রিস্টানেরা তাহদের বাল্যাবধি শিক্ষা বলেতে স্বীকার করেন যে ঐ তিন প্রত্যক্ষ সিদ্ধ হয়েন যেমন বাঙ্গলাতে তান্ত্রিকেরা পঞ্চ ব্রহ্ম কহেন অথচ ঐ পাচকে এক করিয়া জানেন ও যেমন ইদানীন্তন হিন্দুরা অভ্যা সের দ্বারা অনেক অবতারকে এক ঈশ্বররুপে প্রায় প্রত্যক্ষ সিদ্ধ করিয়া জানেন । খ্রিস্টানেরা যাহারা যথার্থ রূপে আপন মার্জিত বুদ্ধির অভিমান রাখেন 'তাহারা কি রূপে এই অনন্বিত সাদৃশ্যকে স্বীকার করেন এবং অন্য অন্যকে ঐরুপ হেত্বাভাসের দ্বারা লোকের ভ্রম জন্মাহঁতে দেন। ইহার কারণ আমার অভিপ্রামে দুই হইতে পারে যে তাহদেব পণ্ডিতেরা গ্রীক ও রোমন পণ্ডিতদের নায় এ সকলকে অযথার্থ জানিয়াও