পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৪৭৯ ) কহিয়া পুনরায় কহেন যে তাহার এক হয়েন আর বাসন করেন যে অন্য সকলেও তাহদের এক হওয়াতে বিশ্বাস করে । তিন পৃথক ੋ এক জ্ঞান করা ক্ষণ মাত্ৰও সম্ভব হয় না সেই তিনের এক ব্যক্তি স্বর্গে থাকিয়া দ্বিতীয় ব্যক্তির প্রতি প্রসন্নত দেখান আর তাহার দ্বিতীয় ব্যক্তি তৎকালে মর্ত্যলোকে থাকিয়া ধৰ্ম্ম যাজন করেন তাহার মধ্যে "তৃতীয় ব্যক্তি স্বৰ্গ মৰ্ত্ত এদুয়ের মধ্যে থাকিয়া প্রথম ব্যক্তির অভিপ্রায়ানুসারে দ্বিতীয় ব্যক্তির উপরে আসিয়া উপস্থিত হয়েন। যদি নিবাসের পার্থক্য ও আধারের ও ক্রিয়ার ও কর্মের পার্থক্য বস্তু সকলেব পৃথক হইবার ও অনেক হইবার কারণ না হয় তবে এককে অন্য হইতে পৃথক জানিবার অর্থাৎ বৃক্ষ হইতে পৰ্ব্বত পৃথক ও মনুষ্য হইতে পক্ষি পৃথক তাহার প্রমাণ কিছু রহিল না এই কি সেই উপদেশ যাহাকে আপনি কহিয়া থাকেন যে ঈশ্বরের প্রণীত হয় আর যে কোনো পুস্তক এমৎ উপদেশ করেন যে ইন্দ্রিয় সকলের শক্তিকে পরিত্যাগ না করিলে তাহাতে বিশ্বাস হইতে পারে না সেই পুস্তক কি পরমেশ্বরের প্রণীত হয় যিনি আমাদের উপকার ও নির্বাহের নিমিত্ত ইন্দ্রিয় ও বুদ্ধি প্রদান করিয়াছেন। মন্থ য্যের যে পর্যন্ত বুদ্ধি ও ইন্দ্রিয় থাকে ও বাল্যাভ্যাসের ভ্রমে মগ্ননা হয় সে ব্যক্তি-কোনো বাক প্রণালীর দ্বারা যাহা বুদ্ধি ও প্রত্যক্ষের বিপরীত হয় তাহাতে প্রতারিত হইতে পারে না । আপনি লিখেন যে পুত্র ঈশ্বর কিঞ্চিৎ কালের জন্যে আপন মহিমাকে পৃথক করিয়াছিলেন আর পিতা ঈশ্বরকে প্রার্থনা করিয়াছিলেন যে র্তাহাকে সেই মুহিমা দেন ও ভূত্যের আকারকে গ্রহণ করিলেন । ইহা কি অবস্থান্তর রহিত পরমেশ্বরের স্বভা, বের যোগ্য হয় যে আপন স্বভাবকে কিঞ্চিৎ কালের জন্যে ত্যাগ করেন ও পুনরায় তাহার প্রার্থনা করেন। আর এই কি সৰ্ব্বলিয়ন্ত প্লরমেশ্বরের স্বভাবের যোগ্য হয় যে কিঞ্চিৎ কালের নিমিত্ত ভূত্যের বেশ ধারণ করেন। এই কি ঈশ্বরের যথার্থ মাহাত্ম্য যাহ। আপনি উপদেশ করিতেছেন। হিন্দুদের মধ্যেও যাহারা সাকার উপাসনা করেন তাহারাও আপনকার এইরূপ বাক্য রচনা হইতে উত্তম বাক্য প্রবন্ধ করিতে পারেন। আমি আপনকার উপকৃতি স্বীকার করিব যদি আপনি প্রমাণ করিতে পারেন