পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৪৮৯

( 8४२ ) হৈালিগোট এই তিনে তুল্য রূপে মনুষ্যকে প্রসন্নতা ও স্বচ্ছন্দতা প্রদান করেন ও পাপ হইতে মোচন করেন আর মুহ্যকে ধৰ্ম্ম পথে প্রকৃত্তি দেন যাহা সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্ব শক্তিমন অনন্ত স্নেহ ও অত্যন্ত দয়ালু বিনা করিত্বে পারেন.না" আমি আপনকার এই মত অপেক্ষা করিয়া অধিক স্পষ্ট অন কোনো নানা ঈশ্বরবাদ অদ্যাপি শুনি নাই যেহেতু আপনি তিন পৃথক ব্যক্তিকে সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্ব শক্তিমান অনন্ত দয়া বিশিষ্ট কহেন আমি এস্থলে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে.যে একের সর্বজ্ঞত্ব ও সৰ্ব্ব শক্তি ও সৰ্ব্ব দয়ালু ত্বের দ্বারা এই জগতের বিচিত্র রচনা ও ত৷হার রক্ষ হইতে পারে কি না যদি বলেন এক সৰ্ব্ব শক্তিমান হইতে জগতের স্বষ্টি ও স্থিতি হইতে পারে তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্ব শক্তিমান স্বীকার করিবাতে মিথ্যা গৌরব হয়। যদি বলেন এক সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্ব শক্তিমান হইতে সৃষ্টি স্থিতি হইতে পারে না তবে তৃতীয় সংখ্যাতে কেন পর্য্যবসান করিব অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ডের সংখ্যার সমান সংখ্যাতে সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্ব শক্তিমানের গণনা কেন না করি ও তাহদের প্রত্যেকের ভাগে এক এক ব্রহ্মাণ্ডকে কেন না চিহ্নিত করা যায়। এরোপদেশীয়েব যেরূপ বিচক্ষণত রাজ কর্যে ও শিপে শাস্ত্রে প্রকাশ করেন তাহা দৃষ্টি করিয়া অন্য দেশীষ ব্যক্তি সকল প্রথমত অনুমান করেন যে ইহঁদের ধৰ্ম্মও এইরূপ উত্তম যুক্তি সিদ্ধ হইবেক কিন্তু যে ক্ষণে তাহার এই মত যাহা আপনকার দেশে অনেকের গ্রাহ হয় তাহা জ্ঞাতা হয়েন তৎক্ষণ মাত্র তাহদের এই নিশ্চয় জন্মে যে রাজ্য ঘটিত উন্নতি যথার্থ ধৰ্ম্মের সহিত কোনো নৈযত্য সম্বন্ধ রাখে না । আমার পঞ্চম প্রশ্ন এই ছিল যে আপনারা “কহিয়া থাকেন যে পুত্ৰ অর্থাৎ যিশুখুিন্টু পিত হইতে সৰ্ব্বতোভাবে অভিন্ন অথচ কহেন তিনি शिठांद्र ठूला হয়েন কিন্তু পরস্পর ভিন্ন বস্তু ব্যতিরেকে তুল্যত সন্তবে না" আপনি এই প্রশ্নের এক অংশকে উত্তরে লিখিযাছেন যে আমি প্রশ্ন কবিয়াছি যে কি রূপে পুত্র পিতার তুল্য হইতে পারেন যদি পিতার সহিত সেই পুঞ্জ এক স্বভাব হয়েন। পরে লিখেন যে এ অনন্বিত প্রশ্ন করা গিয়াছে। আমি এরূপ লিখি নাই যে এক স্বভাব হইলে তুল্যত হইতে পারে না যে হেতুআমরা প্রত্যক্ষ দেখিতেছি যে মনুষ্য সকল এক স্বভাব অথচ পরস্পর