পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৪০

( • wరిని ) এ দুইকে ধন্য করিয়া মানি যে অনেককে অনায়াসে বিশ্বায় করাইয়াছে যে আনন্দের রচিত হস্ত পাদদি বিশিষ্ট মূৰ্ত্তি আছেন তাহার বেশ ੋ। বস্ত্র অভরণ ইত্যাদি সকল আনন্দের হয় এবং ধর্ম ও পাশ্বৰৰ্বি ও প্রেয়সী . এবং বৃক্ষাদি সকল অনিন্দের রচিত বস্তুত আনন্দের দ্বিতীয়. ব্ৰহ্মাও হয় অনচ আনন্দের কিম্বা ক্রোধাদিরুব্রহ্মাও দেখা দূরে থাকুক অদ্যাপি কেহে আনন্দাদি রচিত কণিকাও দেখিতে পাইলেন নু)। নবম পৃষ্ঠায় লিখেন যে সাকার হইলে প্রত্যক্ষসিদ্ধ অস্তুয়ি এবং अब्रिगेड श्य এধং আনন্দনিৰ্ম্মিত অবয়বের অসম্ভব এ দুই তর্কের দ্বারা প্রতিপন্ন হইতেছে কিন্তু ঈশ্বরবিষয়ে তর্ক করা কৰ্ত্তব্য নহে। উত্তর’। যেখানে২ তর্কের নিষেধ আছে সে. বেদবিরুদ্ধ তর্ক জানিবে কিন্তু বেদসম্মত তর্কের দ্বারা বেদার্থের সৰ্ব্বথ। নির্ণয় করা কর্তব্য অতএব শ্রুতি সকল পূৰ্ব্বে যাহার কিঞ্চিৎ লিখিয়াছি পরমেশ্বরকে অরূপ অদ্বিতীয় অচিন্ত্য অগ্রাহ্য অতীন্দ্রিয় সৰ্ব্বব্যাপি করিয়া কহিয়াছেন আর ব্রহ্ম ভিন্ন যাবৎ বস্তুকে অল্প নশ্বর নিরানন্দ করিয়া কইেন এই অর্থকে মহর্ষি বেদব্যাস প্রভৃতি এবং আচাৰ্য্য প্রভৃতি সকলেই যুক্তি দ্বারা দৃঢ় করিয়াছেন তদনুসারে আমরাও সেই অর্থকে ওই বেদসম্মত তর্কের দ্বারা দৃঢ় কজিতেছি। বেদার্থকে বেদসম্মত তকের দ্বারা দৃঢ় করিবেক ইহার প্রমাণ শ্রীতি । শ্রোতব্যে মন্তব্য ইত্যাদি । বেদ বাক্যের দ্বারা পরমাত্মাকে শ্রবণ করিয়া যুক্তিদ্বারা নিশ্চিত করিবেক । মনু । আৰ্ষং ধৰ্ম্মোপদেশঞ্চ বেদশাস্ত্রাবিরোনি ৮ যস্তকের্ণানুসন্ধত্তে স ধৰ্ম্মং বুেদ তরঃ । যে ব্যক্তি বেদ ও ত্যাদি শাস্ত্রকে বেদসম্মত তর্কের দ্বারা অনুসন্ধান করে সেই ব্যক্তি ধৰ্ম্মকে জনে ইতরে জানে না । বৃহস্পতি । কেবলং শাস্ত্রমাশ্রিত্য ন কৰ্ত্তবো বিনির্ণয়ঃ । যুক্তিহীনবিচারেণ ধৰ্ম্মহানিঃ প্রজীয়তে । কেবল শাস্ত্রকে আশ্রয় করিয়া অর্থের নিশ্চয় করিবেক না যেহেতু তক বিনা শাস্ত্রার্থকে নির্ণয় করিলে ধৰ্ম্মের হানি হয় । আপনি ষষ্ঠ পত্রে লিখিয়াছেন যে গোপালতাপনী ও শ্ৰীভাগবত প্রভূতি পুরাণেতে সাকার বিগ্রহ কৃষ্ণকে ব্রহ্ম করিয়া কহিয়াছেন অতএব সাকার যে কৃষ্ণ কেবল তেঁহেঁ সাক্ষাৎ ব্রহ্ম হয়েন । ইহার উত্তর । আপনকার এ কথা তবে গ্রাহ্য হইতে পারিত যদি সমকার সকলের মধ্যে কেবল কৃষ্ণকেই ! 。 ケ* 影