পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t ) و و و " ( ভুজ একবত্ত পঞ্চবক্ত কৃষ্ণ বর্ণ শ্বেত বর্ণ ইত্যাদি ভিন্ন শরীরের ঐক্য স্বীকার করিলে ঘট পট পাষাণ বৃক্ষ ইতাদিরে ঐক্য স্বীকার করি। প্রতাক্ষকে এবং শাস্ত্রকে একবারেই জলাঞ্জলি দিতে হয়।' যদি বল এই রূপে যত নাম রূপ বিশিষ্টকে শাস্ত্রে ব্ৰহ্ম করিয়া কহিয়াছেন সে সকল শাস্ত্র কি অপ্রমাণ। উত্তর , সে সকল শাস্ত্র অবশুই প্রমাণ যেহেতু তাহত মীমাংসা সেই সকল শস্ত্রে ও বেদান্ত স্বত্রে করিয়াছেন । ব্রহ্মদৃষ্টি রুৎকৰ্ষাং। ৪ অধ্যায়। " পাদ স্বত্র , নাম কপেতে ব্রহ্মের আরোপ করিতে পারে কিন্তু ব্রহ্মেতে নাম রূপের আরোপ করিতে পারে না ‘যেহেতু ব্ৰহ্ম সকলের উৎকৃষ্ট হয়েন আর উৎকৃষ্টের আরোপ অপকৃষ্টে হইতে পারে কিন্তু অপকৃষ্টের অরোপ উৎকৃষ্টে হইতে পারে না যেমন রাজার অমাত্যে রাজ বুদ্ধি করা যায় কিন্তু রাজাতে অমাত্য বুদ্ধি করা যায় না অতএব নাম রূপ সকল যে সন্ধ্রপ পরমাত্মাকে আশ্রয় করিয়া প্রকাশ পাইতেছে তাহাতে ব্রহ্মের আরোপ করিয়া ব্রহ্মরূপে বর্ণন করা অশাস্ত্র নহে। এই রূপে নাম রূপবিশিষ্ট সকলুকে ব্রহ্মের আরোপ করিয়া ক্রহ্মরূপে বর্ণন করিবাতে কি জানি ঐ সকলকে নিত্য সাক্ষাং পরব্রহ্ম করিয়া যদি লোকের ভ্রম হয় এনিমিত্ত ঐ সকল শাস্ত্রে তাহাদিগ্যে পুনরায় জন্য এবং নশ্বর করিয়া পুন২ কহিয়াছেন যেন কোনো মতে এবং ভ্রম না হয যে উহাদের কেহ স্বতন্ত্র পরব্রহ্ম হয়েন । এস্তলে তাহার এক উদাহরণ লিখা যাইতেছে এই রূপে অন্যত্র জীবনে যেমন শ্ৰীকৃষ্ণকে অনেক শাস্ত্রে ব্ৰহ্মরূপে বর্ণন করিয়া পুনরায় দান ধৰ্ম্মে লিখেন। রুদ্রভক্ত্যা তু কৃষ্ণেণ জগন্ধ্যাপ্তং মহাত্মনা । অর্থাৎ শিব গুক্তির দ্বারা কৃষ্ণের সকল ঐশ্বৰ্য্য হষ্টয়াছে। সোমুপ্তিকে। প্রাহ্রাসন হৃষীকেশ শতশোহথ সহস্রশঃ। মহাদেব হইতে শত ২ সহস্র২ হৃষীকেশ উৎপন্ন হইয়াছেন । দানধৰ্ম্মে । ব্ৰহ্মাবিষ্ণুস্বরেশানাং স্রষ্টা যঃ প্রভুরেব চ। ব্রহ্মা বিষ্ণু আর সকল দেবতার পৃষ্টিকৰ্ত্ত প্ৰভু মহাদেব হয়েন। নিৰ্ব্বাণ। গোলোকাধিপতিদেবি স্তুতিভক্তিপরায়ণঃ । কালীপদপ্রসাদেন সোহভবশ্লোকপালকঃ । কালিকার স্বতিভক্তিতে রত যে গোলোকাধিপতি কৃষ্ণ তেঁহ কালীপদ প্রসাদেতে লোকের পালন কর্তা হয়েন। o পত্রে লিখিয়াছেন যে চিন্ময়সা দ্বিতীয়সা