পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৪৪

隱 ( ۹ ده وه " ) 魄 নিরলস্যtশরীরিণঃ । উপাসকানাং কাৰ্য্যাৰ্থং ব্রহ্মণে রূপকল্পনা । এ বচনের তাৎপর্য এই যে স্বল্প রূপের অর্থাৎ চিন্ময় চতুর্ভ জাদি আকারের দানের নিমিত্ত প্রতিমা'করা যায় এবং পাতালমেতয়া হি পাদমূলং ইত্যাদি । ভাগবতের শ্লোক যাহাতে বিশ্বসংসারকে পরমেশ্বরের কল্পিত রূপ কহিয়াছেদ সেই সকল শ্লোককে ইহার প্রমাণ দেন । উত্তর আশ্চর্য্য এই যে আপনকার বক্তব্য হইয়াছে এই যে পাষাণাদি ইতি প্রতিমা তাহ ঈশ্ব বের কল্পিত রূপ হয় ইহাই এ বচুনের তাৎপৰ্য্য কিন্তু প্রমাণ দেন যে সমুদায় বিশ্ব পরমেশ্বরের কল্পিত রূপ হয় অতএব আপনার বক্তব্য এক প্রকার আর প্রমাণ অন্য প্রকার হয়। কিন্তু ভাগবতের শ্লোকের .যে তাৎপৰ্য্য তাহা যথার্থ বটে আব্রহ্মস্তম্বপর্য্যস্ত যে বিশ্বতাহ প্রপঞ্চময় কাল্পনিক হয় কেবল সন্দ্রপ পরমাত্মার আশ্রয়ে সত্যের ন্যায় অবস্তিতি করিতেছে ঐ প্রপঞ্চময় বিশ্বের মধ্যে পাষাণাদি এবং পাষাণাদি নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি ও যে২ শরীরের ঐ সকল মূৰ্ত্তি হয় সে সকলেই ঐ কাল্পনিক বিশ্বের অন্তর্গত হয়েন কিন্তু ঐ সকল মূৰ্ত্তি ও প্রতিমূৰ্ত্তি প্রভৃতি কালে জন্মিতেছেন এবং কালে নষ্ট হইতেছেন। ইহার প্রমাণ ঈশোপনিষদের ভূমিকাঁতে বাহুল্য রূপে পাইবেন আর এস্থলে এক জিজ্ঞাস্য এই যে চিন্ময়সা ইত্যাদি শ্লোকের প্রসিদ্ধ শব্দ হইতে এই অর্থ স্পষ্টরূপে নিম্পন্ন হইতেছে যে জ্ঞানস্বরূপ দ্বিতীয় রহিত বিভাগশূন্য এবং শরীররহিত যে পরব্রহ্ম তাহার কপের কল্পনা উপাসকের হিতের নিমিত্ত করিয়াহৈ কিন্তু ইহার কোন শব্দ হইতে চতুজাদি আকার আপনি প্রতিপা, করেন। বিশেষত শ্লোকের অর্থ এই যে রূপ রহিতের রূপ কল্পনা সাধকের .হি তার নিমিত্ত করিয়াছেন আপনি বাধা করেন যে চতুর্ভ জাদি রূপের ক্ষুদ্র রূপ কল্পনা করিয়াছেন,অতএব যে সকল ব্যক্তি প্রথম অবধি আপনকাদের মতে প্রবিষ্ট হইয়া পক্ষপাতে মগ্ন না হুইয়া থাকে তাহার এরূপ সৰ্ব্বপ্রকার বিপরীত ব্যাখ্যাকে কর্ণেও স্থান দেয় না। বাস্তবিক যেং বচনে দ্বিভূজ চতুর্ভুজ শতভুজ সহস্রভুজ ইত্যাদি রূপেতে ব্ৰহ্মারোপে ব্ৰহ্ম করিয়া কহিয়াছেন সেই সকল বচন্ত্ৰে সহিত বৈদান্ত স্বত্রের একবাক্যতা করিয়া তাবৎ ঋষিরা ও গ্রন্থ কর্তার এই সিদ্ধান্ত করেন যে সেই সকল “আকার কল্পনা মাত্র যাবৎ পৰ্য্যস্ত ব্ৰহ্ম