পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৫৮

( trs ) ক এক জনকে ও আমাদিগ্যে ক্রুজ্ঞানী করিয়া ব্যঙ্গরূপে গণনা করিয়াছেন। উৰ্বর। কবিতাকারকে এবং অনেককে বিদিওঁ থাকিবেক -কে সহস্র২, লোক কি এদেশে কি পশ্চিমদি দেশে নিষ্কল নিরঞ্জন পরমেশ্বরের উপাসন করেন তাহাঁতে অনুষ্ঠানের তারক্কম্যের দ্বারা প্রত্যেক ব্যক্তির ফলের তীরস্তম্য হয় অতএব আমরা সত্যধৰ্ম্মের অনুষ্ঠানেত্বে, অধম যদ্যপিও হই তাহাতে এ ধৰ্ম্মের অগৌরব নাই এবং অন্য উত্তম জ্ঞানিক্টরও জাহাতে কি হানি হইতে পারে সেইরূপ সাকাব’ উপাসনাতেও দেখিতেছি যে রামপ্রসাদ আবাদী ও ঠাকুরদাস বামাচারী ও হরিদাস গোসাই এবং কবিতাকার আ; পন২ সাকার উপাসনাতে তৎপর হইয়া প্রসিদ্ধ হইয়াছেন কিন্তু ইস্থার দ্বার। এমত নিশ্চিত হয় না যে অপকৃষ্ট সাকার উপাসক আর নাই বরঞ্চ ইহা প্রত্যক্ষ দেখা যাইতেছে যে অনেক ২ বাক্তি অনুষ্ঠানের তারতম্যরূপে সাকার উপ{. সনা করিতেছেন তাহাতে উপাসনার মন্তত কিম্বা অমান্তত বিজ্ঞলোকের নিকট হয় এমং নহে। ২২ পৃষ্ঠার ২৩ পংক্তিতে কবিতাকার লিখেন যে আপন পাওমার অন্বেষণের কারণ পাগলের ন্যায় চুচুড়া মোং দিবিরিঙ সাহেবুের তত্ত্বে যাই । যদ্যপি ৫ ব্যবহারে আত্মরক্ষণ এবং আত্মীয়রক্ষণ করিলে পরমার্থে হানি’কিছুই নাই কিন্তু দিবিৰিঙ সাহেবের তত্ত্বে যাওয়া এ কেবল মিথ্যা অপবাদ যেহেতু দিবিরিঙ সাহেবের সহিত দেন পাওনা কোনো কালে নাই দ্রবিঙ সাহেব বর্তমান আছেন এবং তাহার কাগজপত্র ও চাকর লোক বিদ্যমান বিশেষত চুচুড়াতে কয়েক বৎসর হইল যাতায়াত মাত্র নাই অতএব বিজ্ঞলোক বিবেচনা করিলে কবিতাকার কিপর্য্যন্ত” আমাদের প্রতি দ্বেষ ও অপকারের বাঞ্ছা করেন এবং মিথ্য রচনাতে কবিতাকারের শঙ্ক আছে কি না ইহা অনায়াসে জানিতে পরিবেন । ১ পৃষ্ঠের ১১ পংক্তি অবধি কবিতাকর ভূঙ্গিতে জানান যে আমরা আপনাকে ব্ৰহ্মজ্ঞানি করিয়া অভিমান कद्धिं এবং যোগধাশিষ্ঠের বচন লিখিয়াছেন। সাংসারিকমুখাসক্তং ব্রহ্মস্তেহীতং বানিং। কৰ্ম্মব্রহ্মোভয়ভ্রষ্টং তং ত্যজেদন্ত্যজং যথা। অর্থাৎ সংসারের স্বাধন্তে । আসক্ত হয় অথচ ব্রহ্মজ্ঞানি বলিয়া অভিমান করে সে কৰ্ম্ম ব্ৰহ্ম উভয় ভ্রষ্ট হয়? তাহাকে অস্থাঞ্জের গুঞ্জ ত্যাগ করি িবক। ইছা আমরাও স্বীকার করিতে পারি দি জমির সংসারে আসক্তি করি ও ব্রহ্মজ্ঞানি বলিয়া অভিমান রাখি উৰে