পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ४४२ ) উভয় ভ্ৰষ্ট হইতে পারিব বাস্তবিক এবচনের তাৎপর্ঘ্য এই যে সংসারহুখে আসক্ত হইবেক না এবং অভিমান করিবেক না যেমন স্মৃতিতে লিখেন। উদিতে জগতীমাথে য: কুৰ্য্যাদস্তধাবনং । স পাপিষ্ঠঃ কথং ক্রতে পুজয়ামি জনাৰ্দ্ধমং। t & অর্থাৎ হুর্য্যোদয়ের পরে যে ব্যক্তি দস্তুধাবন করে সে পাপিষ্ঠ কি রূপে কহে যে আমি বিষ্ণুপূজার অধিকারী হই। ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে সূর্য্যোদয়ের পরে দস্তুধাবন করিবেক ন৷ কিন্তু বশিষ্ঠের ঐ বচনকে শাসনপর না জানিয় যথtশ্রত গ্রহণ করিলেও আমাদের হানি নাই যেহেতু আত্ম অভিমানবে সকল পাপের মূল করিয়া জানি কিন্তু কবিতাকার প্রভৃতি অনেক পৌত্তলিকের যদ্যপি ঐ স্মৃতির বচনকে যথাশ্রুত অর্থে গ্রহণ করেন তবে তাহাদের সকল কৰ্ম্ম প্রায় পণ্ড হয় । কবিতাকার ২২ পৃষ্ঠের ১২ পংক্তিতে লিখেন যে আমরা ব্ৰহ্মজ্ঞানী হইয়াছি ইহা লোককে জানাই কিন্তু যে ব্রহ্মজ্ঞানী হয় সে মৌন ও নিজনে থাকে । উত্তর । কবিতারার প্রভৃতির ন্তায় আমরা পৌত্তলিক নঃি যে দীর্ঘ তিলক ছাপা ও থোল করতালের সহিত নগর কীৰ্ত্তন করিয়া অথবা সৰ্ব্বাঙ্গে রুদ্রাক্ষের মালা ও রক্তবস্ত্রাদি পরিধান ও মৃত্যগীতের দ্বারা আপ: উপাসনা অন্তকে জানাইব এবং আমরা কোন কোন বিশেষ পৌত্তলিকের দ্যাঃ নহি যে উপাস্তকে ঘোর প্রতারণার দ্বারা গোপন করিব মধ্যত্মি শাস্ত্রের পা ও উপদেশ করিলে অন্তে আমাদিগ্যে, যেরূপে জানিতে চাছে তাহ জানিয়ে আমাদের হানি লাভ নাই সৰ্ব্বকাল মৌন ও নির্জনে থাক। ইহা ব্রান্ধের নিত ধৰ্ম্ম নহে যেহেতু উপনিষদাদির পাঠ ও তাহার উপদেশ করিতে বেদে ও অম্বাদি শাস্ত্রে পুনঃ পুনঃ বিধি আছে এবং সত্যকাল হইতে এপর্য্যন্ত বশিষ্ঠা ব্রহ্মনিষ্ঠ সকল কি জ্ঞানসাধন সময়ে কি সিদ্ধাবস্থায় অধ্যাত্ম শাস্ত্রের পাঠ ও শ্রবণ ও উপদেশ এবং গার্হস্থ্য করিয়া অসিতেছেন । ছান্দোগ্য উপনিষদ। স্বাধ্যায়মধীয়ানো ধাৰ্ম্মিকান বিদধং ইত্যাদি ন স পুনরাবৰ্ত্ততে ন স পুনরা Y" ইত্যন্তং । এই প্রকার পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে ব্ৰহ্মজ্ঞান বিশিষ্ট গৃহস্থ বেদ ধ্যয়ন পূর্বক পুত্র অমাতাকে জ্ঞানোপদেশ দ্বারা ধৰ্ম্মনিষ্ঠ করিয়া কালহব xকরেন তাহার পুনরাবৃত্তি নাই । ভগবান মনুঃ ১২ অধ্যায়ে। আত্মজ্ঞানে শমে চ স্থাৎ বেদাভ্যাসে চ যত্নবান। আত্মজ্ঞানেতে ও ইন্দ্রির নিগ্রহে এক বেদাভ্যাসে ব্রহ্মনিষ্ঠের যত্ন করিনি। ২২ পৃষ্ঠের ১৪ পংক্তিতে কবিতাকা