পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রত্যুত্তর । । ওঁ তং সং, কবিতাকার ১ পৃষ্ঠার ১১ পংক্তিতে লিখেন শাস্ত্রের মত এই যে সকল শাস্ত্র পড়িলে বেদান্ত শাস্ত্রে অধিকার হয়। উত্তর । কি প্রমাণানুসারে, ইহাকছেন তাহা লিখেন না যেহেতু তাবৎ শাস্ত্রে বিধি আছে যে ব্রাহ্মণ আপন শং ও তাহার अख्लैंड উপনিং রূপ বেদান্ত পাঠ ও তাহার অর্থ চিন্তন করিবেন পরে অন্ত শাস্ত্র পড়িবার প্রবৃত্তি হইলে তাহাও পড়িবেন। অধ্যয়নে ধৰ্ম্মসংহিতার বচন স্বশাখাং তদ্রহস্যঞ্চ পঠেদর্থাংশ্চ চিস্তয়েৎ । ততোহভ্যসে যথাশক্তি সাঙ্গবেদান দ্বিজঃ ক্ৰমাৎ । ভগবান মনু ২ অধ্যায়ে আচাৰ্য্য লক্ষণে লিখেন । উপনীয় তু য: শিষ্যং বেদমধ্যাপয়েদ দ্বিজঃ । সকল্পং সরহস্তঞ্চ তমাচাৰ্য্যং প্রচক্ষতে। যে ব্রাহ্মণ শিষ্যকে যজ্ঞোপবীত দিয়া যজ্ঞ বিদ্য ও উপনিষৎ সহিত বেদকে পাঠ করান তাহাকে আচাৰ্য্য শব্দে কহ৷ যায়। রহস্ত শব্দ উপনিষদের প্রতিপাদক হয় ইহা কুলুক ভট্টের টাকাতে লিপ্লেন। অধিকন্তু শাস্ত্রশব্দে সমগ্র চারি বেদ ও সমুদায় দর্শন ও সকল স্মৃতি ও পুরাণ ও উপপুরাণ এবং সংহিতাদি ও অনন্ত কোটি আগম বুঝায় এ সকল না পড়িলে বেদান্ত পাঠে যদি অধিকার না হয় তবে বেদগ্ৰস্ত পাঠের প্রায় সম্ভাবনা থাকে না বিশেষত কলির মনুষ্য প্রায় শতাযুর অধিক ছয়েন না ওই সকল শাস্ত্রের যৎকিঞ্চিৎ পড়িতেই মৃত্যু উপস্থিত হইবেক বেদান্ত পাঠের সুতরাং সম্ভাবনা না হয় অথচ প্রত্যক্ষ দেখিতেছি যে ভগবান ভাষ্যকারের পূৰ্ব্বে এবং পরে এ পর্যন্ত উপনিষদ রূপ দোন্ত ও তাহার বিবরণ বেদব্যাসকৃত সুত্রের পা অনেকেই করিয়া আসিতেছেন এবং অনেকেই কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন কবিতাকার পরমেশ্বরের উপাসনা হইতে লোককে নিবৃত্ত করাতে কি ধ্ৰুধিয়াছেন যে এরূপ শাবিক ও যুক্তিবিক কথার উল্লেখ করিয়া রিমার্ধশাধনে লোককে নিরুৎসাহ করিতে চেষ্টা পান। ওই প্রথম পৃষ্ঠের ১২ পংক্তি অবধি ব্যঙ্গে জানাইয়াছেন যে বেদের প্রথম ভাগ না পড়িয়া বেদান্ত পড়িলে বিড়ম্বন হয় অতএব মুকুন্দরাম ভট্টাচাৰ্য্য প্রভৃতি অনেকে প্রথম কাণ্ডের পাঠ বিনা বেদান্ত পাঠের ধারা বিড়ম্বিত হইয়াছেন। উত্তর। কবিতা কার দ্বেযেতে মগ্ন হইয়া আপনার পুৰ্ব্বাপর বাক্যের অত্যন্ত বিরোধ হয় তাহ