পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৬৫

( ૭tક્ત } বন্ধুক না থাকিলে ইহ জন্মেই উৎপন্ন হয় আর প্রতিবন্ধক থাকিলে,জন্মস্বরে উদ্ভব হয় তাহা বেদে দেখিতেছি যে গর্ভস্থ ঝুমদেবের ঐহিক কোন সাধন . বাতিরেকে জ্ঞান প্রাপ্তি হইয়াছে। বাশিষ্ঠে। যস্মৈ ন রোচতে জ্ঞানমধাত্মং মোক্ষসাধন। ঈশাপিতেন মনসা যজেরিষ্কামকৰ্ম্মণ। মোক্ষের সাধন যে নিরঞ্জন জ্ঞান তাহাতে যাহার রুচি ন হয় সে পরমেশ্বরে চিত্তনিবেশ করিয়া নিষ্কাম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিবেক' গীতা। অভ্যাসেপ্যসমথোলি মৎকৰ্ম্মপরমোভব। মীৰ্থমপি কৰ্ম্মাণি কুৰ্ব্বন সিদ্ধিমবান্স্যসি | ক্রমশ জ্ঞানের অভ্যাসে যদি তুমি অসমর্থ হও তবে আমার আরাধনা রূপ যে কৰ্ম্ম তাহাতে তৎপর হইবা যেহেতু আমার উদেশে কৰ্ম্ম করিবাতে সিদ্ধি প্রাপ্ত হইবে। যে ব্যক্তির ব্রহ্মজিজ্ঞায় হইয়া থাকে তাহার চিত্তশুদ্ধি ইহজন্মের কৰ্ম্মাধীন অথবা পূৰ্ব্বজন্মের কৰ্ম্ম দ্বারা অবশ্য হইয়াছে ইহা নিশ্চয় করিতে হইবেক যেহেতু চিত্তশুদ্ধি ন হইলে ব্রহ্মজিজ্ঞাসাতে প্রবৃত্তি হয় না অতএব কার্য্য দেখিয়া কারণে নিশ্চয় করিতে হয় । আশ্চৰ্য্য এই কবিতাকার আপন পুস্তকের ২৩ পত্রে ২৩ পংক্তি অবধি লিখেন যে ইহজন্মে কৰ্ম্মানুষ্ঠান ব্যতিরেকে যাহাদের ব্রহ্মজ্ঞান জন্মিয়াছে সে পূৰ্ব্বজন্মের কৃত কন্মের ফলের দ্বারা হইয়াছে অথচ পুনরায় লিখেন ষে জ্ঞানসাধনের পূর্ব ইহজন্মে কৰ্ম্ম না করি লেই নহে। ২ পৃষ্ঠে ২ পংক্তিতে লিখেন প্রথমে সাকার ব্রহ্মৈর ভজন আবশ্যকু । উত্তর। ইহা পূৰ্ব্ব প্রকরণে লিখা গিয়াছে যে চিত্তশুদ্ধি হইয়া ব্রহ্মজিজ্ঞাসা না হইলে কৰ্ম্ম ও সাকার উপায়নার প্রয়োজন থাকে যদি পূৰ্ব্বজন্মের কৰ্ম্ম ও উপাসনা,দ্বারা প্রথম অবস্থায় ব্রহ্মজিজ্ঞাসার উৎপত্তি হয় তবে সাকার উপাসনার কদাপি প্রয়োজন নাই যেহেতু যথার্থ বস্তুতে ব্যক্তির অভিনিবেশ হইলে কল্পনাতে বিশ্বাস কোনো মতে থাকে না। মাণ্ডুকা উপনিষদের ভাষ্যদ্ভুত বচন। আশ্রমাস্ত্রিবিধা হীনমধ্যমোৎকৃষ্টদৃষ্টয়ঃ। উপা সনোপদিষ্টেয়ং তদৰ্থমনুকম্পয় ॥ আশ্রমী তিন প্রকার হয়েন উত্তম মধ্যম Aং অতএব তাহাতে মধ্যম ও অধমের নিমিত্ত এই উপাসন,বেদে রূপ করিয়া কহিয়াছেন। অসমর্থে মনোধাতুং নিতে নিবিষয়ে বিভো। শন্ধৈ, প্রতীকেরটাভিরুপালীত যথাক্রমং। নিত্য উপাধিশুন্য সৰ্ব্বব্যাপি, পরমে স্বরেতে মুনকে স্থাপন করিতে ঘুে ব্যক্তি মসমর্থ হয় সে শব্দের দ্বারা কিম্বা