পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৬৯

( ७७२ ( ) করিয়াছেন অথচ কবিতাকার চক্ষু থাকিতেও দেখেন না ১ পৃষ্ঠে ২ পংক্তি। নেয়ং যোষন্ন চ পুমান ন যণ্ডে ন জড়ঃ স্মৃত:, তথাপি কল্পবল্লীবৎ স্ত্রীশব্দেন প্ৰযুজ্যতে। যদ্যপি তিনি স্ত্রী নহেন পুরুষ নহেন এবং কীব নহেন এবং জড় নহেন তথাপি যেমন কল্পবৃক্ষে স্ত্রীর লক্ষণ না থাকিলেও কল্পলতা শব্দে কহ যায় সেইরূপ তাহার প্রতি স্ত্রীলিঙ্গ শব্দের প্রয়োগ হয়। ঐ পৃষ্ঠের শেষ পংক্তিতে কবিতাকারের জ্বশ্লোক। অথ কালীপুরাণ। দৃষ্টিহীন সদৃষ্টি ত্বমকর্ণাপি চ সশ্রতিঃ । তঁরস্বিনী পাণিপাদহীন ত্বং নিতরাং গ্রহ । চক্ষু নাই দেখেন কৰ্ণ নাই শুনেন হস্ত নাই গ্রহণ করেন পা নাই গমন করেন। পুনরায় ১২ পৃষ্ঠে ১৩ পংক্তিতে। অচিন্তামিতাকারশক্তিস্বরূপ প্রতিব্যক্ত্যধিষ্ঠানসত্বৈকমূৰ্ত্তিঃ । গুণাতীতনিদ্ব দ্ববোধৈকগম্য ত্বমেকা পরব্রহ্মরূপেণ সিদ্ধা। তোমার স্বরূপ চিন্তার যোগ্য নহে এবং পরিমাণের যোগ্য নহে এবং তুমি শক্তিস্বরূপ হও আর সকলের আশ্রয় এবং সত্বস্বরূপ হও আর গুণের অতীত কেবল নিবিকল্প বুদ্ধির গ্রাহ পরব্রহ্ম স্বরূপ তুম হও। ১৬ পৃষ্ঠের ২ পংক্তিতে। রামং বিদ্ধি পরং ব্রহ্ম সচ্চিদানন্দমব্যয়ং । সর্বোপাধিবিনিমুক্তং নিতানন্দমগোচরং । আনন্দ নিৰ্ম্মলং শান্তং নিৰ্ব্বিকার নিরঞ্জনং। সৰ্ব্ব ব্যাপিনমাত্মানং স্বপ্রকাশমকল্মষং হনুমানের প্রতি সীতার বাক্য। হ্রাসবৃদ্ধিহীন সকল উপাধি শূন্য নিত্য আনন্দস্বরূপ ইন্দিয়ের অগোচয় নিৰ্ম্মল শান্ত ও বিকাররহিত সৰ্ব্বব্যাপি স্বয়ংপ্রকাশ আত্মাস্বরূপ ব্ৰহ্ম করিয়া তুমি রামকে জানিবে। এবং যুক্তিতে আকারবিশিষ্টের ব্রহ্মত্ব সৰ্ব্বথা বিরুদ্ধ হয় যেহেতু যে যে বস্তু চক্ষুগোচর সে সে নশ্বর এই ব্যাপ্তির অন্যথা কোনো মতে নাই আর যে নশ্বর সে"পরব্রহ্ম হইবার যোগ্য নহে এবং সাকার বস্তু যত বিস্তীর্ণ হউক তথাপি দিক দেশ কালের ব্যাপ্য হইবেক আর পরব্রহ্ম সৰ্ব্বব্যাপি র্তেই কাহার-ব্যাপ্য মহেন এবিষয় অত্যন্ত বিস্তার রূপে বেদান্ত চন্দ্রিকার উত্তরের ১৩ পৃষ্ঠায় এবং বৈষ্ণবের উত্তরে পৃষ্ঠে লিখাগিয়াছে তাহ অবলোকন করিবুেনু কবিতাকার গণেশ শক্তি হরি স্বৰ্য্য শিব এবং গঙ্গা এই ছয়ের ব্রহ্মত্ব প্রতিপন্ন করিবার নিমিত্ত অনেক বচন লিখিয়াছেন যাহাতে এ সকলের প্রতি ব্ৰহ্ম শব্দের উল্লেখ এবং ব্রহ্ম ধৰ্ম্মের আরোপ আছে। কবিতাকারকে বিবেচনা করা উচিত যে যেমন ঐ ছয়কে ব্ৰঙ্ক শব্দে কহিয়াছেন এবং ক্রহ্ম ধৰ্ম্মের আরোপ