পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t ( ७१० ') কার, সাকার ব্ৰহ্ম মানিয়া আনন্দলহরী স্তব করিয়াছেন । উত্তর । বেদান্তের ভাষা প্রস্তুত আছে কোন স্থানে সাকারকে স্বৰূপে ভাষা মানিয়াছেন জাগ কবিতাকারকে দেখান উচিত ছিল তবে আনমলহরী। দেবি স্বরে শ্বরি ইত্যাদি গঙ্গার স্তব । নমো শঙ্কটাকষ্টহবিণী ভবানী ইত্যাদি অনেক২ স্তবকে এবং একখান সত্যপীরের পুস্তককেঁও শঙ্করাচার্যের রচিত কহিয়৷ সেই দেবতার পূজকের প্রসিদ্ধ করিয়াছেন এ সকল স্তব বেলন্তের ভয় কার আচাৰ্যকুত ইহাতে প্রমাণ দু নাই,প্রধান লোকের নামে আপনং কবিতা বিখ্যাত করিলে চলিত হইবেক এই নিমিত্ত আচার্য্যের নামে এই সকল স্তব স্তুতি প্রসিদ্ধ করিয়াছেন আর যদ্যপিও তাহার কৃত এ সকল হয় তথাপি হানি নাই যেহেতু ব্রহ্মের আরোপে জগতের তাবৎ বস্তুকে ব্রহ্ম করিয়া বর্ণন করা যায়। কবিতাকার তৃতীয় এবং চতুর্থ পৃষ্ঠায় যাহা গুরু মাহাত্ম্য লিখি য়াছেন সে সৰ্ব্বথা প্রমাণ এবং যে বচন লিথিয়াছেন তাহার বিশেষরূপে আমরা অর্থবিগতি করিলাম তাহার মধ্যে র্কিঞ্চিৎ লিখি। নমস্তুভ্যং মহামন্ত্রদায়িনে শিবরূপিলে। ব্ৰহ্মজ্ঞানপ্রকাশায় সংসারহুঃখহারিণে। অখণ্ডমণ্ডলাকার ব্যাপ্ত যেন চরাচরং। তৎপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্ৰীগুরবে নমঃ । সাক্ষাৎ শিবস্বরূপ মহামস্ত্রের দাতা সংসারদুঃখহারক যে তুমি হে গুরু তোমাকে ব্ৰহ্মজ্ঞানের প্রকাশের নিমিত্ত প্ৰণাম করি। অখণ্ড ব্রহ্মের স্বরূপ এবং যিনি চরাচর জগং কে ব্যাপিয়াছেন সেই পদকে দেখাইয়াছেন যে গুরু তাহাকে নমস্কার। কিন্তু কবিতাকারকে উচিত যে ইহা প্লিবেচনা করেন যে যেশাস্ত্রানুসারে গুরু সৰ্ব্বথ। মান্য হইয়াছেন সেই শাস্ত্রে লিখেন তন্ত্র । গুরবো বহবঃ সন্তি শিষ্যবিত্তাপহারকাঃ। দুল ভোইয়ং গুরুৰ্দেবিশিষ্যসস্তাপহারকঃ শিষ্যের বিত্তাপহাবী গুরু অনেক আছেন কিন্তু শিষ্যের সন্তাপহরণ করেন যে গুরু তিনি অতি দুলভ। আর লিখেন তন্ত্র। পশোমুখাৱন্ধমন্ত্র; পশুরেব ন সংশয়ঃ। পও গুরুর নিকট মন্ত্র গ্রহণ করিলে পশু হয় ইহাতে সংশয় নাই। বেদে কহেন তদ্বিজ্ঞান থং স গুরুমেবাভিগচ্ছেৎ সনিৎপাণিঃ শ্রোত্ৰিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠং ! সেই শিষ্য পরমতত্ত্ব জানিবার নিমিত্ত বেদজ্ঞ ব্রহ্মনিষ্ঠ গুরুর নিকট যাইবেন। অতএব শাস্কায়সারে গুরুকে মানা করিতে হয় সেই শাস্ত্রানুসারে গুরুর লক্ষণ জানিতে হয় পিতাকে মানিতে হয় শাস্ত্রে কহিয়াঁছেন এবং পিতার