পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৬৭১ ) লক্ষণ ওই শাঙ্গে করিয়ছেন যে যিনি জন্ম দেন তাঙ্গকে পিতা কহি অতএব , পিতার লক্ষণ ऍशय्छ আছে মহাকে পিতা কহি মানিতে হইবেক । আমরা * ওঁঠংসং পত্রারম্ভে এবং অন্য কৰ্ম্মারস্তে লিখি এব; কহি তাহাতে কবিতাকা নোযোল্লেখ করিয়া ২৩ পৃষ্ঠের শেষে লিপিয়াছেন যে ওঁকার স্বার্থে বঙ্গকে বুঝায় ৰেথ অক্ষরে হইয়াছে তাহতে ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরের নাম বুঝায় অতএব সেই সকল নাম লেখা ভাল নতুবা ওঁকার শব্দের গন্থের মধ্যে তিন নাম থাকে। যে অক্ষরে ওঁকার হইয়াছে তালুতে ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরকে বুঝায় কুবিতাকার লিগেন অথচ পুনরায় দোষ দেন যে সে সকল নাম কেন আমরা না লিখি যদি ওই সকল অক্ষরে কবিতাকারের মতে ওই সকল দেবতাকে বুঝায় তবে তাহাদের নাম লেখা কি প্রকারে না হক্টল এবং কবিতাকার প্রভৃতিকে দেখিতেছি যে এক হক্টতে অধিক নাম আপনা আপন লিপির প্রথমে ও গ্রন্থের প্রথমে প্রায় লিখেন না তবে কিরূপে কহেন আমরা দ্বেষ প্রযুক্ত ব্ৰহ্মাদির নাম লিখি ন যদি একের নাম লিখিয়া অন্য দেবতার নাম ন! · লিখিলে দ্বেষ বঝায় তবে সুমুদায় দেবতার নাম গ্রন্থাদির প্রথমে লেখা আবশাক ইয়া উঠে অথচ কবিতাকাব প্রভৃতি কেহ কৃষ্ণ কেহ বা কেবল দুর্গ ইত্যাদি রূপে লিপি প্রভৃতির প্রথমে" লিখেন তাহাতেও যে২ দেবতার নাম না লিখেন উঠার প্রতি কি দ্বেষ বুঝাইবেক এ কেবল কবিতাকারের দ্বেষ মাত্র পরমেশ্বরের প্রতি বুঝায় যেহেতু দৈবতাস্তরের নাম গ্রহণ করিবার'প্রতি এপর্য্যস্ত যত্ন কিন্তু শাস্ত্রপ্রসিদ্ধ যে’পরমেশ্লরের প্রতিপাদক শব্দ সকল তাহার গ্রহণ অন্যে করিলে নানা দোষ্ণুের উল্লেখ করেন বস্তুত কর্তব্য কিম্বা অকৰ্ত্তব্য শাস্ত্রানুসারে জানা যায় শাস্থে কহেন যে তাবৎ করে প্রথমে ওঁতৎসং ইহার সদায়ের অথবা প্রত্যেকের গ্রহণ করিবেক গীতা। ওঁঠুৎসদিতুি নির্দেশে ব্ৰহ্মণ স্ট্রিবিধঃ স্তুতঃ । ব্রাহ্মণ স্তেন বেদাশ্চ যজ্ঞাশ্চ বিহিতা: পুরা ; ওঁকার এবং তৎ ও সৎ এই তিন শব্দের দ্বারা ব্রহ্মের নির্দেশ করেন অতএব বিধাতা সৃষ্টির আরম্ভে ওই তিনের গ্রহণ পূর্বক ব্রাহ্মণের ও বেদের ও যজ্ঞসকলের সৃষ্টি করিয়াছেন । পুনরায় গীতাতে। সদ্ভাবে সাধুভাবে চ সদিত্যেতৎ প্রযুজ্যতে । প্রশস্তে কৰ্ম্মণি তথা সুচ্ছব্দ: পাৰ্থ বুজাতে। ব্যক্তির জন্মেতে ও উত্তম চরিত্রেতে সংশব্দের প্রয়োগ হয় অতএব তাবৎ প্রশূওঁ কৰ্ম্মেতে হে অৰ্জ্জুন সং শব্দের