পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"نه، 《, ংসং । 了 ভট্টাচাৰ্য্য আপনার গ্রন্থের প্রথম পত্রে লেখেম যে এ গ্রন্থ কোন ব্যক্তির কাল্পনিক বাক্যেৰ খণ্ডনের জন্যে লেখা যাইতেছে এমত কেহ দেন মনে না করেন.কিন্তু ৱৈদন্তি শাস্ত্রে লোকের অনাস্থা না হয় কেবল এই নিমিত্ত্বে বেদান্ত শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত সংক্ষেপে লেখা গেল, এবং ভট্টাচাৰ্য্য ঐ গ্রন্থের সমাপ্তিতে তাহার নাম বেদান্তচন্ত্রিক বাথিয়াছেন । ইহাতে এই সমূহ আশঙ্কা আমারদিগের হইতেছে যে যে ব্যক্তি ৰেদান্ত শাস্ত্রের মত পূৰ্ব্ব হইতে না জানেন এবং ভট্টাচার্য্যেব পাণ্ডিত্যে বিশ্বাস রাখেন তিনি বেদান্তের মত জানিবার নিমিত্ত ঐ গ্রন্থ পাঠ করিতে পারেন তখন সুতরাং দেখিবেন যে বেদান্তচন্দ্রিকার প্রথম শ্লোকে কলিকালীয় তাবৎ ব্রহ্মবাদির উপহাসের দ্বারা মঙ্গলাচরণ করিয়াছেন এবং পরে পরে “ অশ্বচিকিৎস ’’ ‘’ গোপের শ্বশুরালয় গমন ” “ ইতোভষ্টস্ততে নষ্টঃ ” “ চালে ফলতি কুষ্মাণ্ডং ” “ হাটরি বাজার কথা নয় ” “রোজা নমাজ ” ইত্যাদি নানা প্রকার ব্যঙ্গ ও দুৰ্ব্বাক্য কথনের দ্বারা গ্রন্থকে পরিপূর্ণ করিয়াছেন ইহাতে ঐ পাঠ,কর্ভার চিত্তে সন্দেহ ইষ্টতে পারে যে সে বেদান্ত কেমন পুরমার্থ শাস্ত্র যাহার চন্দ্রিকাতে এই সকল বাঙ্গ বিদ্রুপ দুৰ্ব্বাকু লেখা দেখিতেছি, যে গ্রন্থের সংক্ষেপে চন্দ্রিক এই রূপ হয় তাহার মূল গ্রন্থ বা কি প্রকার হইবেক ? কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি সুবোধ হয়েন তবে অবশ্যই বিবেচনা করিবেন যে প্রসিদ্ধ রূপে শুনা যায় বেদান্ত শাস্ত্রের উপদেশ এই যে কীট'পৰ্য্যন্তকেও ঘৃণা করিবেক না কিন্তু এ বেদান্ত চন্দ্রিকাতে তাহার বিপৰীত দেখা যুইতেছে অতএব তিনি বেদান্তে অশ্রদ্ধা না করিয়া চন্দ্রিকাতেই অপ্রামাণ্য করিবেন। আমারদিগের সম্বন্ধে যে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ দুৰ্ব্বাক্য ভট্টাচাৰ্য্য লিখিয়াছেন তাহার উত্তর না দিবার কারণ আদে এই যে পরমার্থ বিষয় বিচারে অসাধু ভাষা এবং দুৰ্ব্বাক্য কথন সৰ্ব্বথা অযুক্ত হয়, দ্বিতীয়তঃ আমারদিগের এমত রীতিও নহে যে দুৰ্ব্বাক্য কথন বলের দ্বারা লোকেতে জয়ি হই, অতএব ভট্টাচার্য্যের দুৰ্ব্বাক্যের উত্তর প্রদানে আমরা অপরাধি বহিলাম। • বাজসনেয়ুসংহিদোপনিষদের ভাষা বিবরণের ভূমিকা প্রভৃতিতে আমরা যাহা যাহা লিখিয়াছি তাহাকে ভট্টাচাৰ্য আপনার বেদান্ত চল্লিকার স্থানে