পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ૭ ( ) লগত যুক্তিরও বিকদ্ধ, কারণ যখন মূৰ্ত্তি স্বীকার কি ধ্যানে কি প্রত্যক্ষে করবে সে যদি,অত্যন্ত বৃহদানার হয় তথাপি আকাশের মধ্যগত হইয়া পরিমিত এবং আকাশের ব্যাপ্য অবশ্য হইবেক, কিন্তু ঈশ্বর সর্বব্যাপী' হয়েন কোন মতে পরিমিত এবং কাহার ও ব্যাপ্য নহেন। তটাচাৰ্য্য,যদি কছেন ব্রহ্ম বস্তুতঃ অমূৰ্ত্তি বটেন কিন্তু তাছার সর্ব শক্তি আছে,অতএব তিনি আপনাকে সমূৰ্ত্তি করিতে পারেন। ইহার "টুকু এই জগতের স্বপ্তাদি বিষয়ে ব্রহ্ম সৰ্ব্বশক্তিমান বটেন কিন্তু তৃহার আপনার স্বরূপের পাশ করিবাদ শক্তি তাহার আছে এমত স্বীকার করিলে জগতের ন্যায় ব্রহ্ম হইতে ব্রহ্মের নাশ হ গুনের সস্তাবন ੋਂ স্বীকার করিতে হয়, কিন্তু যাহার নাম সম্ভব সে ব্রহ্ম নহে অতএব জগতের বিষয়ে'ব্ৰহ্ম সৰ্ব্ব শক্তিমান হয়েন আপনার স্বরূপের নাশে শক্তিমান নহেন এই নিমিত্তেই স্বভাবতঃ অমূৰ্ত্তি ব্ৰহ্ম কদাপি সমূৰ্ত্তি হইতে পারেন না যেহেতু মূৰ্ত্তি হইলে তাহার স্বরূপের বিপদি অর্থাৎ পরিমাণ এবং আকাশাদির ব্যাপাত্ব ইত্যাদি "ঈশ্বরের বিরুদ্ধ ধৰ্ম্ম সকল তাহাতে উপস্থিত হইবেক। যদি ভট্টাচাৰ্য বলেন যে ব্রহ্ম যদি সমূৰ্ত্তি ইতে না পারেন' তবে জগদাকারে কি রূপে তিনি দৃশ্যমান হইতেছেন। স্থার উত্তর বেদান্ত শাস্ত্রেই আছে যে যাবৎ নাম রূপময় মিথ্যা জগত সত্য স্বরূপ বন্ধকে অবলম্বন করিয়া সত্যের ন্যাস দৃষ্ট হইতেছে। যেমন মিথ্যা সপ সত্য রজ্জ কে অবলম্বন করিয়া সত্যরূপে প্রকাশ পায় বস্তুতঃ সে রজ্জ, সৰ্প হয় এমত নহে সেই রূপ সত্য স্বরূপ যে ব্রহ্ম তিনি মিথ্যা রূপ জগৎ বাস্তবিক হবেন না এই হেতু রেদান্তে পুনঃ পুন:কহেন যে ব্রহ্ম বিবৰ্বে অর্থাৎ আপন স্বরূপেব ধ্বংস না করিয়া প্রপঞ্চ স্বরূপ দেবাদি স্থাবর পর্যন্ত জগদাকারে আত্ম মায়া দ্বারা প্রকাশ পারেন। কি রূপে এখানকার পণ্ডিতর লৌকিক কিঞ্চিং লাভের নিমিত্তে তাহাকে পরিচ্ছিন্ন বিনাশ যোগ্য মূৰ্ত্তিমান কহিতে সাহস করিয়া ব্রহ্ম স্বরূপে আঘাত করিতে উদ্যত হয়েন ? ইহা হইতে সুধিক আশ্চর্ঘ্য অন্য আর কি আছে যে ইন্দ্রিয় হইতে পর যে মনঃ মনঃ হইতে পর যে বুদ্ধ বুদ্ধ হইতে পর যে পরমাত্মা তাহাকে বুদ্ধির জীন যে মন সেই মুনের অধীন যে পঞ্চেন্দ্রিয় তাহার মধ্যে এক ইঞ্জিয় যে চক্ষু সেই চক্ষুর গোচর যোগ্য করিন্স কহেন।