পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ج وملا ) গাধক তাই। হইতে বর্ণাশ্রম বিশিষ্ট যে সাধক তাহাকে শ্রেষ্ঠ করিয়া কছিগছেন। ইতি প্ৰথমখওং। ” t এখন ভট্টাচাৰ্য্য বেদান্তচন্ত্রিকাতে যে সকল যোগাযোগ্য প্রশ্ন লিখিয়াছেন,তাহার উত্তর এক প্রকার দেওয়া যাইতেছে। তিনি প্রশ্ন করেন যে “যদি বল আমি তাদৃশবট,তবে তুমি যাহারদিগকে স্বীয় আচরণ করণে প্ৰবৰ্ত্তাইতেছ, তাহারাও সকলে কি বামদেব কপিলাদির প্রায় মাতৃ গৰ্ভ হইতে ভূমিষ্ঠ হইয়াই ব্ৰহ্ম সাক্ষাৎকারবান হইয়াছে ?” ইহাব উত্তর, পূৰ্ব্বপূৰ্ব্ব যোগিদিগের তুল্য হওয়া আমারদিগের দূরে থাকুক, ভট্টাচাৰ্য্য যে রূপ সংকৰ্ম্মান্বিত তাহাও আমরা নহি, কেবল ব্রহ্মজিজ্ঞাসু, তাহাতে যে রূপ কৰ্ত্তব্য শাস্ত্রে লিখিয়াছেন তাহার সম্যক অনুষ্ঠানেও অপটু আজি ইহা আমরা বাজসনেয়সংহিতোপনিয়দের ভূমিকাতে অঙ্গীকার কব্লিয়াছি, অতএব অঙ্গীকার করিলে পরে ও ভট্টাচাৰ্য্য যে এরূপ শ্লেষ করেন সে ভট্টাচার্য্যের মহত্ব আর আমবা অন্যকে বিরুদ্ধ আচরণে, প্রবৃত্ত করিতেছি হৈ যে ভট্টাচাৰ্য্য কহেন সেও ভট্টাচার্য্যের সাধুতা। এ প্রমাণ বটে যে বাজসনেয়সংহিতাদি উপনিষদের বিবরণ সংক্ষেপে সাধ্যানুসারে আমরা করি য়াছি র্যাহার দেধিবার ইচ্ছা থাকে তিনি তাহ দেখেন, আর র্যাহার শাস্ত্রে শ্রদ্ধা আছে তিনি তাঁহাতে শ্রদ্ধা করেন, আর র্যাহারা স্থবোধ হয়েন তাহার ঈশ্বরের উপাসনা আর কেবল খেলা ঐ দুইয়ের প্রভেদ অবশ্যই করিয়া লরেন আর ভূমিষ্ঠ হইবামাত্র ঐ সকলের ব্রহ্ম সাক্ষাৎকার হইয়াছে কি না এ প্রশ্ন ভট্টাচার্য্যের প্রতি সম্ভব হয়, যেছে তু ভট্টাচার্য্যের মন্ত্র বলে কাষ্ঠ পাষাণ মৃত্তিকাদিকে সজীব করিতেছেন অতএব মনুষ্যের বালককে ব্ৰক্ষু সাক্ষাৎকারবান করা তাহারদিগের কোন আশ্চৰ্য্য ? কিন্তু আমরা সাধারণ মনুষ্য আমারদিগের এ প্রশ্ন আশ্চর্য্য জ্ঞান হয় । 隸 আর লেখেন যে “তবে ঈশ্বরাদি শরীরের উদ্বোধক প্রতিমাদিতে তদুদেশে শর বিহিতু পূজাদি ব্যাপার লৌকিক প্লীহা ছেদন বাণ মারণাদির ন্যায় কেন না হয় ? আত্মবৎ সেবা ইহা কি শুন না ? যেমন গারুড়ী মন্ত্র শক্তিতে একের উদ্দেশে অন্যত্র ক্রিয়া করাঁতে উদেশ্য ফল ভাগী হয় তেমনি কি b ?