পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৬৩ ) মত হয়েন যে হেতু ইন্দ্রিয় রক্তি দূর পর্যন্ত যায় না এবং বেদেতে ইন্দ্রিয় \ সকলের উৎক্রমণের শ্রবণ অাছে ৷ ৬ ৷ বেদে কহেন মহা প্রলয়েতে কেবল ব্রহ্ম ছিলেন.আর ঐ শ্রীতিতে আনীত এই শব্দ আছে তাহাতে বুঝা মর্মি প্রাঞ্চ ছিলো। এমত নহে। শ্রেষ্ঠশ্চ ॥ ৭ । শ্রেষ্ঠ যে প্রাণ তৈনিও স্থা হইতে হইয়াছেন, যে হেতু বেদে কহিয়াছেন প্রাণ আর সকল ইন্দ্রিয় ক্ষে হইতে উৎপন্ন হইয়াছেন তবে ত্মানীত শব্দের অর্থ এই। মহাপ্রলয়ে ব্ৰহ্ম উৎপন্ন হয়েন নাই কিন্তু বিদ্যমান ছিলেন ॥ ৭ ॥ প্রাণ সাক্ষাৎ বায়ু হা কিম্বা বায়ু জন্য ইন্দ্রিয় ক্রিয়া হয় এই সন্দেহেক্তে কহিতেছেন। ন বায়ু কয়ে পৃথ গুপদশং ৮। প্রাণ সাক্ষাৎ বায়ু নহুে এবং বায়ু জন্য ইন্দ্রিয় কয় নহে যে হেতু প্রাণকে বায়ু স্বইতে বেদে পৃথক করিয়া কহিয়াছেন । বে পূর্ব শ্রুতিতে যে কহিয়াছেন যে বায়ু সেই প্রাণ হয় সে ক্লাৰ্য্য কারণের অভেদ রূপে কহিয়াছেন ৷ ৮ ৷ যদি কহ জীব আর প্রাণের ভেদ আছে অতএব দেহ উভয়ের বদপা হইয়া ব্যাকুল হইবেক এমত নহে ॥ চকুলাবিত্ত, তৎসহশিষ্ট্যাদিভ্যঃ ৯ চক্ষুকৰ্ণাদের ন্যায় প্রাণে জীবের অধান হয় যে হেতু চক্ষুরাদির উপর প্রাণের অধিকার জীবের সহকারে আছে পৃথক অধিকার নাই তাহার কারণ এই যে চক্ষুরাদির ন্যায় প্রাণে৷ ভৌতিক এবং অচেতন হয়। ৯ চক্ষরাদির সহিত গ্রাণের তুল্যত কহ৷ চিত নহে যেহেতু চক্ষুরাদির রূপাদি বিষয় আছে প্রাণের বিষয় নাই তাহার উত্তর এই অকরণত্বাচ্চ ন দোষস্তথা হি শয়তি। ১০। যদি কহ প্রাণ ইঞ্জিয়ের ন্যায় জীবের করণ না হয় ইহা কহিলে দোষ হয় না যেহেতু প্রাণ জীবের করণ না হইয়াও দেহ ধারণ রূপ বিষয করিতেছে বেদেতেও এই রূপ দেখিতেছি । ১০। পঞ্চবৃত্তিৰ্ম্মনোবৎ ব্যপদিশাতে ॥ ১১। প্রাণের পাচ রক্তি নিঃশ্বাস এক প্রশ্বাস দুই দেহ ক্রিয়া তিন উৎক্রমণ চারি সর্বাঙ্গে বসেপ চালন ধাঁচে। মনের যেমন অনেক বৃত্তি-সেইরূপ প্রাণেরে এই পীচ ত্তি বেদে কহিয়াছেন অতএব প্রাণ ইঞ্জিয়ের ন্যায় বিষয় যুক্ত হইল ॥১১ |. কহিয়াছেন জীব তিন লোকের সমান হয়েন জীবের সমান প্রাণ হয় ইগতে বুঝা যায় প্রাণ মহান হয় এমত নহে। অণুশ্চ ॥১২। প্রাণ ক্ষুদ্র ংরেন যেহেতু প্রাণের উৎক্রমণ বেদে শ্রবণ অাছে তবে পূৰ্ব্ব শ্রুতিতে যে