পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৭০০

( vనరీ ) করেন যেহেতু স্থল ধ্যানের দ্বারা চিত্ত স্থির হইলে পরে স্বল্প আত্মাতেওঁ চিত্ত .স্থির হইতে পারে। . y - কিন্তু যাহারদিগের, বুদ্ধিমত্ত আছে আর র্যাহারা জগতের নাম প্রকার, নিয়ম ও রচন্ম দেখিয়া নিয়ম কুৰ্বাতে নিষ্ঠ রাখিবার সমর্থ্য রাখেন তাহার- * দিগের জন্যে হস্তি মস্তকের উপদেশ করা শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য নহে। করপাদোদরাস্যাদিরহিতং পরমেশ্ববুিল - সৰ্ব্বতেজোময়ং ধ্যায়েত সচ্চিদানন্দলক্ষণং ॥ কুলার্ণব: হস্ত পাদ উদর মুখ প্রভৃতি অঙ্গ রহিত সৰ্ব্ব তেজোময় সচ্চিদানন্দ স্বরূপকে হে ভগবতি ধ্যান করিবেক ॥ 3. so ভট্টাচাৰ্য্য লেখেন “যদি বল ফলাভাব প্রযুক্ত দেবতাদিগের উপাসনা না করি তবে হে ফলাথি জ্ঞানি মানি তাহারদিগকে মিথ্যা কেন কহ ? যাহার যাহাতে উপযোগ না থাকে সে কি তাহাকে মিথ্যা কহে ?” । উত্তর, প্রয়োজন ব্যতিরেকে কেহ কোন বিষয়ে প্রবৃত্ত হয় না আত্মজ্ঞান সাধনের প্রয়োজন মুক্তি হয় এরূপ প্রয়োজনকে যদি ফল কুহ তবে সকলেই ফলাকাজি হয় ইহাতে, হানি কি আছে ? স্বর্গাদি ফলাকাজি হইয়া কৰ্ম্ম করা মোক্ষাকাঙ্গুির অকৰ্ত্তব্য বটে। আর যাহার যাহাতে উপযোগ নাই সে তাহাকে বৃথা কুহিয়া থাকে যেমন নাসিকার, রোম যাহাতে আমারদিগের কোন প্রয়োজন নাই তাহাকে ਕ੍ਰੋ: বৃথা কহা যায়। এস্থলেও नहे রূপ বন্ধজিহ্বাস হইলে সোপাধি উপসর্গ বৃথা জ্ঞান,হয়। è ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন ৰে “ স্থতাভোজির কাছে ঘৃত কি মিথ্য ?” উত্তর, ঘৃতকে যে ভোজন না কৈে-এবং ক্রয় বিক্রয়াদি না করে সে ব্যক্তির নিকট স্বত মিথ্যা নহে কিন্তু তাহার কোন প্রয়োজন ঘুতেতে নাই এ নিমিত্ত সে স্মৃতকে আপন বিষয়ে বৃথা জানিয়া থাকে। “ তুমি বা একাক্ষ না হও কেন, কাকের কি এক চক্ষুতে নিৰ্ব্বাহ হয় না ?” “এপ্রশ্নের তাৎপর্য বুঝিতে পারিতেছি না, যাহা হউক ইহার উত্তরে ভট্টাচাৰ্য্যকে জিজ্ঞাসা করি যে আপনি রাজ সংক্রান্ত কৰ্ম্ম ত্যাগ কেন না . করেন ? যাহারদিগের রাজ সংক্রান্ত কৰ্ম্ম নাই তাহারদিগের কি দিন পাত হয় না ? এ প্রশ্নের উত্তরে ভট্টাচার্য যাহা কহিবেন তাহা মামারদিগের ও