পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৭০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 鼻 R করেন তাহাতে কাহারও আপত্তি নাই যেহেতু ঈশ্বরীয় মায়। কোথায় দেবীরূপে কোথায় দেবরূপে কোথায় জল, কোথা,স্থল রূপে সন্দ্রপ, পরমাত্মাতে, অধ্যস্ত হইয়া প্রকাশ পাইতেছে আর ঐ ভ্ৰমাত্মক দেবী দেব জল স্থলাদির . প্রতীতি যখুর্থ জ্ঞান হইলেই বুশকে পায়। * * .. * • আর লেখেন “ যদি বল-আমরা মাংস পিও মাত্র মানি মৃত পাষাণাদি নিৰ্ম্মিত কৃত্রিম পিও মানি না।” উত্তর, এ মালঙ্কা ভট্টাচাৰ্য্য কি নিদর্শনে করিতেছেন অনুভব হয় না যেহেতু আমরা মাংস পিওঁ ও মৃতিক পাষাণাদি’ নিৰ্ম্মিত পিণ্ড এ ছুইকেই মানি কিন্তু এ দুইয়ের কাহাকেও স্বতন্ত্র ঈশ্বর কহি না । পরমাত্মার সত্তার অরোপের দ্বারা সত্যের নায় প্রতীত হইয়া লৌকিক ব্যবহারে ঐ দুইয়ের প্রথম যে মাংসপিণ্ড সে পশ্বাদির ভোজনে আইসে আর দ্বিতীয় যে মৃত্তিক। পাষাণাদি পিণ্ড সে থেলা আর অন্য অন্য আমোদের কারণ হয় । *. 勤 ভট্টাচাৰ্য্য পুনৰ্ব্বার আশঙ্কা করেন যে “ যদি বল 'আমরা সচেতন পিণ্ডই মানি অচেতন, পিণ্ড মানি না।” উত্তর, উপাধি অবস্থাতে সচেতন এবং অচেতন উভয় বস্তুরই পৃথক পৃথক রূপে প্রতীতি হয় সুতরাং উতয়কেই মানি স্নার তুষ্মধ্যে যে বস্তু যদৰ্থে নিয়মিত হইয়াছে তাহাকে তদনুরূপে ব্যবহার করি।" সচেতনের মধ্যে গুরু প্রভৃতিকে মান্য করিতে হয় ও ভৃত্যাদির দ্বারা গৃহ কৰ্ম্ম লওয়া যায়' আর অচেতন পিণ্ডের মধ্যে ইষ্টকাদি দ্বারা গৃহাদি এবং পাষাণাদি দ্বারা পুত্তলিকাদি নিৰ্ম্মাণ করা যায় কিন্তু আশ্চৰ্য্য এই যে অনেক সচেতন পিণ্ড অচেতন পিণ্ডকে সচেতন অভিপ্রায় করিয়া আহার শয্যা সুগন্ধি দ্রব্য এবং বিবাহদি দেন । আর লেখেন “ মীমাংসক মত সিদ্ধ অচেতন মন্ত্রময় দেবাত্নাত্মাই না মান বেদান্ত মত সিদ্ধ অম্মদ দিবং সচেতন বিগ্রহ বিশিষ্ট দেবতা কেন না মান ?” উত্তৰ, বেদান্ত মতে দেবতাদিগের শরীর প্রসিদ্ধ আছে সুতরাং আমরাও ঐ দেবতাীিগের বিগ্রহ স্বীকার করি কিন্তু ঐ বেদান্ত নিদর্শনে ঐ বিগ্রহকে অন্মদারির দেহবং মায়িক ও নশ্বর করিয়া জানি এবং যেমন আমারদিগের প্রতি ব্ৰহ্ম জ্ঞান সুধিনের অধিকার অাছে সেই রূপ দেবতাদিগের প্রতিও অধিকার আছে।