পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৭০৩

( ৬৯৬ } তদুপৰ্য্যপি বাদরায়ণঃ সম্ভবাৎ ৷ বেদান্তস্বত্রং । মনুষ্যের উপর এবং দেবতাদিগের উপর ব্রহ্ম বিদ্যার অধিকার আছে । বাদরায়ণ কহিতেছেন যেহেতু বৈরাগ্যের এবং মোক্ষাকাঙ্কার সম্ভাবনা যেমন মনুষ্যের আছে সেই রূপ সস্তাবনা দেবত্বাতেও হয় । এবং তাবৎ দেবতার সমাধি করা ভারতাদি গ্রন্থে প্রসিদ্ধ আছে । ভট্টাচার্য লেখেন যে “ যদি ধল আমৰা যাদৃশ মনুষ্যাদি শরীরকে চক্ষে দেখিতে পাই তাহাই মানি বেদান্ত মতসিদ্ধ দেব শরীর চক্ষে দেখিতে পাই ন। অতএব মানি না তৎ প্রতিমার প্রশক্তিই কি ?” উত্তর, পূর্ব প্রশ্নের উত্তরেতেই ইহার উত্তর দেওয়া গিয়াছে যে বেদান্ত মতসিদ্ধ দেব শরীরকে এবং সেই শরীরের মায়িকত্ব নশ্বরত্ব আমরা মানিয়া থাকি । আর লেখেন যে “ যদি বল তামি তাহ অর্থাৎ নাস্তিক নহি কিন্তু অবৈদিকের এই রূপ কহিয়া থাকে আমিও তদৃষ্টি ক্রমে কহি ।” উক্তব, আশ্চৰ্য্য এই যে ঐহিক লাভের নিমিত্ত ভট্টাচার্য সৰ্ব্ব শাস্ত্র প্রসিদ্ধ আত্মোপাসনা ত্যাগ করিয়া এবং করাইয়া এবং গেীণ সাধন যে প্রতিমাদির পুঞ্জ। তাহার প্রেরণা করিয়া আপনার বৈদিকত্ব অভিমান রাপেন আর আমরা সৰ্ব্ব শাস্ত্র সম্মত পরব্রহ্মোপাসনাতে প্রবৃত্ত হইয়া ভট্টাচার্যের বিবেচনায় অবৈদিক ও নাস্তিক হই। স্থবোধ লোক এ দুইয়েরই বিবেচনা করিবেন । আর লেখেন যে “ অন্য ধন ব্যয় অীয়াস সাপ্য প্রতিমা পূজা দশন জন্য মৰ্ম্মাস্তিক ব্যথা নিবৃত্তি করি ৪ । সম্প্রতি কেন এক দিক আশ্রয় না করিয়া আন্দো লায়মান হও ?” উকুর, যে ব্যক্তি কেকল স্বার্থপর না হয় সে অন্য ব্যক্তিকে দুঃখি অথবা প্রতারণাগ্ৰস্ত দেখিলে অবশ্যই মৰ্ম্মান্তিক ব্যথা পায় এবং ঐ দুঃখ ও প্রতারণা হইতে মুক্ত করিবার চেষ্টা করে কিন্তু যাহার প্রতারণার উপর কেবল জীবিকা এবং সম্মান সে অবশ্যই প্রতারণার যে ভঞ্জক তাহার' বিরুদ্ধাচরণ করিবেক। আর আমরা এক মাত্র আশ্ৰয় করিয়াই আছি । তাশ্চৰ্য্য এই যে ভট্টাচাৰ্য্য পাচ উপাসনার তরঙ্গের মধ্যে ইচ্ছ। . পূৰ্ব্বক পড়িয়া অন্যকে উপদেশ করেন যে মাঝামাঝি থাকিয়া আন্দোল্লায়মান হইও না । f 歡, g - ভট্টাচাৰ্য আর লিখিয়াছেন তার তাৎপর্য এই যে প্রতিমা পূজার