পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৭০৯

( १०२ ) সৰ্ব্ব ভজনীয় করিয়ু তিনি বিখ্যাত হয়েন এই প্রকারে ব্রহ্মের উপাসন, .' অর্থাৎ চিন্তা কর্তব্য হয় । ভট্টাচাৰ্য্য লেখন তাহর তাৎপর্ঘ্য এই যে “যদি সৰ্ব্বত্র বুদ্ধময় ক্ষপ্তি না হয় তবে ঈশ্বরের'স্ব'ষ্ট এক এক পদার্থকে, ঈশ্বর বোধ করি। উপাসন, করিলেও ফল সিদ্ধি অবশ্য হয় আপনার বুদ্ধি দোষে বস্তুকে যথার্থরূপে না ..জানিলে ফুল সিদ্ধির হানিফ্লুইতে পারে না যেমন স্বপ্নেতে মিথ্যা ব্যাস্ত্ৰাদি দর্শনে বাস্তব ফল প্রত্যক্ষ কি না হয় ?’ ই হার উত্তর । ভট্টাচাৰ্য্য আপন অনুগতদিগকে উত্তম জ্ঞান দিতেছেন যে ঈশ্বরের স্বল্পকে আপন বুদ্ধি দোষে ঈশ্বর জ্ঞান করিলেও স্বপ্নের ব্যাভ্রাদি দশনের ফলের ন্যায় ফল সিদ্ধি হয় কিন্তু ভট্টাচার্য্যের অনুগতদিগের মধ্যে যদি কেহ সুবোধ থাকেন তিনি অবশ্য এই উদাহরণের দ্বারা বুঝিবেন যে স্বপ্নেতে ভ্ৰমাত্মক ব্যাঘ্ৰাদি দর্শনেতে যেমন ফল সিদ্ধি হয় সেইরূপ ফল সিদ্ধি এই সকল কাল্পনিক উপাসনার দ্বারা হইবেক । স্বপ্ন ভঙ্গ হইলে যেমন সেই স্বপ্নের সিদ্ধ ফল নষ্ট হয় সেইরূপ ভ্রম নাশ হইলেই ভ্ৰম-জন্য উপাসনার ফলও নাশকে পায়, যখন ভট্টাচার্য্যের উপদেশ দ্বারা তাহার কোন স্থবোধ শিষ্য ইহা জানিবেন তখন যথার্থ জ্ঞানা'ধীন যে ফল সিদ্ধ হয় আর যে ফলের কদাপি নাশ নাই তালার উপার্জনে অবশ্য সেই ব্যক্তি প্রবৃত্ত হইতে পারেনু। 蟒 আর লেখেন "যেমন কোন মহারাজ আচ্ছন্নরূপে স্বপ্রজাবর্গের রক্ষণায়রোধে সামান্য লোকের ন্যায় স্বরাজ্যে ভ্রমণ করেন সেই রূপ ঈশ্বর রাম কৃষ্ণাদি মনুষ্য রূপে আছন্ন স্বরূপ হইয়া ‘স্বস্বষ্টি জগতের রক্ষা করেন।" উত্তর । কি রাম কৃষ্ণ বিগ্রহে কি আব্রহ্ম স্তম্ব পর্য্যন্ত শরীরে পরমেশ্বর স্বকীয় মায়ার দ্বারা সৰ্ব্বত্র প্রকাশ পাইতেছেন । অন্মদাদির শরীরে এবং রাম কৃষ্ণ শরীরে ব্ৰহ্ম স্বরূপের নুনাধিক্য নাই কেবল উপাধি ভেদ মাত্র। যেমন এক প্রদীপ সূক্ষ্ম আবরণ কাচাদি পাত্রে থাকিলে তাহার জ্যোতিঃ বাহে প্রকাশ পায় সেই রূপ রামকৃষ্ণাদি শরীরে ব্রহ্ম প্রকাশ পায়েন আর সেই দীপ যেমন স্কুল আবরণ ঘটাদি মধ্যে থাকিলে তাহার জ্যোতিঃ বাহে প্রকাশ পায় না । সেই রূপ ব্ৰহ্ম স্থাররাদি শরীরে প্র}াশ পায়েন না অতএব আব্রহ্মস্তম্ব পর্য্যস্ত ব্ৰহ্ম সত্ত্বার তারতম্য নাই।