পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৭১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ...,' ) অথচ যায়াকে মেচ্ছ কহেন তাহার গুরু এবং নিয়ত সহবাসি হয়েম, আর গোপনে নানা বিধ আচরণ করেন ; আর অন্য এক ব্যক্তি ক্ষুধয় বর্ণের ন্যা বেশ রাখে, আমিষাদি স্পষ্ট রূপে ভোজন করে, আপনাকে কোন মতে সদাচাৰ্বি দেখায়’ন, যে দোষ তাহার আছে তাহ অঙ্গীকার করে, এ দুই প্রকার মনুষ্যের মধ্যে বক ধূৰ্ত্ত আখ্যান কাহাকে শোভা পায়। এ প্রশ্নের স্তরণ এই যে ভট্টাচার্য আমারদকে বক ধূৰ্ত্ত করিয়া বেদান্তচন্ত্রিকাতে কহিয়া ছেন। ' ' . . I দ্বিতীয়, এক জন নিষিদ্ধাচারী সে আপুনাকে বিশ্বগুক কবিয়া জানে আর এক জন নিষিদ্ধাচারী সে আপনার অধমত স্বীকাব করে এই দুইয়ের মধ্যে কাহার অপরাধ মার্জনার যোগ্য হয় । তৃতীয়, এক ব্যক্তি লোকের যাবৎ শাস্ত্র গোপন করিয়া লোককে শিক্ষা দেয় যে যাহা আমি বলি এই শাস্ত্র, ইহাই নিশ্চয় কব, তোমার বুদ্ধিকে এবং বিবেচনাকে দূরে রাখ, আমাকে ঈশ্বর করিয়া জান, আমার তুষ্টির জন্যে সৰ্ব্বস্ব দিতে পার ভালই নিদান তোমার ধনের অদ্ধেক আমাকে দেও, আমি তুষ্ট হইলে সকল পাপ হইতে তুমি মুক্ত,এবং স্বৰ্গ প্রাপ্ত হইবে। আর এক জন শাস্ত্র এবং লোকের বোধের নিমিত্ত যথাসাধ্য তাহারভায় বিররণ করি। লোকের সম্মুখে রাখে এবং নিবেদন করে যে আপনার অনুভবের দ্বারা এবং বেদ সম্মত যুক্তির দ্বারা ইহাকে বুঝ আর बृश ईशय्ड প্রতিপন্ন হয় তাহ যথাসাধ্য অনুষ্ঠান কর আর অন্তঃকরণের সহিত ঈশ্বরকে ভয় এবং সম্মান কর -এ দুইয়ের মধ্যে কোন ব্যক্তি স্বার্থপর বুধায়। এ প্রশ্নের কারণ এই যে ভট্টাচাৰ্য্য বেদান্তচন্দ্রিকাতে আমারদিগকে স্বপ্রয়োজন পর করিয়া লিখিয়া ছেন। এখন ইহার সমাধা বিজ্ঞ লোকের বিবেচনায় রহিল। হে সৰ্ব্বব্যাপি পরমেশ্বরভূমি আমারদিগকে দ্বেষ মৎসরত মিথ্যাপবাদে প্রবৃত্ত করাইবে