পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৭৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ༈ ཅི༔ ག) যুক্ত নাম সকল কি গৌড়ীয় কি সংস্কৃত যাহার বিবরণ ২৯ পৃষ্ঠে করা গিয়াছে, আর, অনিয়মিত যুক্ত ক্রিয়া সকল যাহ্বা ৬৭ পৃষ্ঠে লিখা গিয়াছে, ' অযুক্ত নামের ও অযুক্ত ক্রিয়ার স্বত্রের অনুগত ইয়; যেমন গুণ্ডিতদের মও- , লীতে তিনি তোনার প্রশংসা করিলেন, ইহাকে যুক্ত কুরিবার প্রকার এই, পণ্ডিতমণ্ডলীতে তিনি তোমাকে প্রশংসা করিলেন; উভয় স্থলেই মণ্ডলী এই শব্দ অধিকরণ পরিণাম আছে, করণ ক্রিয়া উভয়স্থলেই সকৰ্ম্মক, প্রভেদ এই যে “প্রশংস" পূৰ্ব্ব উদাহরণে কৰ্ম্ম হয়, আর পরে উদাহরণে “তোমাকে” কৰ্ম্ম श्छे য়ছে { - t * * + * - ক্রিয়ার চতুর্থ পদ যে রূপে হওন এই ক্রিয়ার সহিত সংযুক্ত হইয়া রূপ হয় তাহ ৬১ পত্রে দৃষ্টি করিলে জানিতে পরিবেন। - i “তো” ইহা কখনই কথোপকথনে এবং কবিতায় অভিহিত পদের অথবা তাহার ক্রিয়ার দহিত সংযুক্ত হয়, সেখানে • প্রয়োজনসিদ্ধি বিষয়ে সন্দেহ জন্মে অথবা ক্রিয়াতে নিশ্চয় জানাইবার অভিপ্রায় থাকে ; ষেমন আমি তো যাই, অর্থাৎ আমি যাই সদ্যপি ও কাৰ্য্যসিদ্ধির নিশ্চয় নাই; আমি । তে কৰিব, অর্থাৎ আমি অবশ্যই কবি অন্যে করে আর না করে। কিন্তু অভিহিত পদ ভিন্ন অন্য কোন পরিণামের সহিত সংযুক্ত হইলে প্রায় । কোন বিশেষ অর্থ স্থচক হয় না, কখন বা নিশ্চয়ার্থ বোধক হয় ; যেমন তাহাকে তো দেখিব, অর্থাৎ তাহাক অবশ্য দেখিব। সেই রূপ কথোপকথনে ও কবিতায় “কে৷ ” ইহার সংযোগ অভাব ঘটিত ক্রিয়ার সহিত । কদাচিৎ প্রযুক্ত হয়, ইহাতে কোন অর্থাস্তরের বোধ হয় না ; যেমন আমি যাবোনাকে অর্থাৎ আমি যাব না, আমি গেলেম নাকে অর্থাৎ আমি গেলেম ন} { • ? f পরে লিখিত বাক্য সকলের দ্বারা ব্যক্ত হইবেক যে বক্তা ও যাহার প্রতি বলা যায় এ উভয়ের মর্য্যাদানুসারে নানা প্রকা বাক্যপ্রবন্ধ হয়, তাম্বার , মধ্যে যে সকল ভাষাতে পারস্য শব্দ আছে তাহাদিগে গৌড়ীয় ভাষাতে হিন্দুস্থানীয় ভাষার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে ; যেমন ভৃত্য অতি মৰ্য্যাদাবান্‌ প্রভূর আদেশ জানিবার নিমিত্ত এই রূপ কহিয়া থাকে যে “এ ভৃত্য কিম্বা এ গোলাম হাজির আছে হজুরহইতে কি আজ্ঞা হয় ?” প্রধান জাতীয় লোককে কোন প্রার্থনাব আকাঙ্ক্ষার এরূপ কহিয়া থাকে যে ‘‘অনেক দিবস ঐ পাদপদ্ম ধ্যান করিতেছি,” “ঠাকুরের , কৃপা বিনা নিস্তার নাই ।” o } প্রধান মনুষ্যকে সাপেক্ষ ব্যক্তি এই রূপ কহিয়াথাকে যে “এ পরিজন . মহাশয়ের অনেক ভরসা রাখে।” । *