পাতা:রাজা রামমোহন রায় প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( \ood ) গায়ত্ৰ্যা পরমোপাসনাবিধানং (১) অৰ্থাহ ভগবান মনুঃ। “ওঙ্কারপূর্বিকাস্তিস্রোমহাবাহৃতয়েই ব্যয়াঃ । ত্ৰিপদ চৈব সাবিত্ৰী বিজ্ঞেয়ং ব্ৰহ্মণো মুখং৷ যোহ ধীতেই হন্যহন্যেতান ত্রাণি বর্ষাণ্যতন্দ্ৰিত: । স ব্ৰহ্ম পরামভ্যোতি বায়ুভূতঃ খ্যমূৰ্ত্তিমান” ৷ “ত্রিভ্যএব তু বেদেভ্যঃ পাদং পদমদৃদুহৎ । তদিতৃচোহ স্যাঃ সাবিত্র্যা: পরমেষ্ঠ প্ৰজাপতিঃ ” || (২) যোগিযজ্ঞবল্ক্যশ্চা। “প্রণবব্যাহৃতিভ্যাঞ্চ গায়ত্ৰ্যা ত্ৰিতয়েন চ্য। উপাস্যং পরািমং ব্ৰহ্ম আত্মা যত্ৰ প্ৰতিষ্ঠিতঃ” ৷ “ভুর্ভ বঃঙ্গ স্তথা পূৰ্ব্বং স্বয়মেব স্বয়ম্বুবা। ব্যাহৃত জ্ঞানদেহেন তেন ব্যাহৃতয়ঃ স্মৃতাঃ”। (৩) (১) গায়িত্রীর দ্বারা পরমোপাসনার বিধান । (২) ভগবান মনু এ প্রকরণে ক’হেন। “প্রণব পূর্বক তিন মহাব্যাহৃতি অর্থাৎ ভূৰ্ভাবঃ স্ব; আর ত্ৰিপদ গাযাত্রী এই তিন ব্ৰহ্ম প্রাপ্তির ६द्ध श्रे যাছেন । যে ব্যক্তি প্রণব ও ব্যাহৃতি এবং গায়ত্রী এই তিনকে তিন বৎসর প্রতিদিন নিরালস্য হইয়া জপ করে সে ব্যক্তি পর ব্রহ্মে অভিনিবিষ্ট হয়। এবং পবন তুল্য বিভূতি বিশিষ্ট হইযী শরীর নাশের পর ব্ৰহ্ম প্রাপ্ত হয়”। مجمع 6 4 তৎ সবিতুরিত্যাদি যে এই গায়িত্রী তাহার তিন পাদকে তিন বেদ হইতে ব্ৰহ্মা উদ্ধার করিয়াছেন” । (৩) যোগিসাজুবন্ধা এস্থলে কহিতেছেন। “প্রণব এবং ব্যাহতি ও গায়ত্রী এই তিনের প্রত্যেকের অথবা সমাদয়ের দ্বাৰা বুদ্ধি বৃত্তির আশ্রয় যে পর পহ্ম তাহার উপাসনা করিবেক” । "যেহেতু পূর্বকালে স্বয়ং ব্ৰহ্মা সমুদায় বিশ্ব নে ভুভুবঃ স্বঃ ওঁহাকে ঈশ্বরের দেহরূপে ব্যাহৃত করিয়াছেন অর্থাৎ কহিয়াছেন সেই হেতু ঐ তিনকে ব্যাহৃতি শব্দে কহা যায়। অতএব ঐ তিন শব্দ ত্ৰিলোক ব্যাপক ঈশ্ববের প্রতিপাদক হন”।