পাতা:রাজা রামমোহন - দেবেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ o এবং তর্ক করিতে চাহিলেন। রামমোহন শাস্ত্ৰ-গ্ৰন্থ সকলই পড়িয়াছিলেন। কিন্তু তন্ত্র পড়েন নাই-সুতরাং তিনি তন্ত্র-সম্বন্ধে কিছুই জানিতেন न वा ब्रूङिन्न न । পণ্ডিত আসিয়া যখন সেই তন্ত্র-সম্বন্ধে আলোচনা এবং তর্ক করিতে চাহিলেন-তখন তিনি হটিলেন না-মনে মনে ঠিক করিলেন এই নূতন বিষয়টি পড়িয়া তর্ক করিবেন। এই স্থির করিয়া পণ্ডিতকে পরদিন আসিতে বলিলেন, এবং সেই দিনই শোভাবাজারের স্বৰ্গীয় রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের বাটী হইতে একখানি শ্রেষ্ঠ তন্ত্র চাহিয়া আনিলেন । p তাহার এরূপ আশ্চৰ্য্য মনের বল এবং আত্মনিৰ্ভরের শক্তি যে একদিনের মধ্যে সেই সম্পূর্ণ অজ্ঞাত কঠিন তন্ত্রখানি আগাগোড়া চমৎকার রূপ আয়ত্ত করিয়া ফেলিলেন । পরদিন পণ্ডিত আসিলে তিনি অনায়াসে র্তাহার সহিত তর্ক আরম্ভ করিয়া দিলেন। কঠিন কঠিন সূক্ষ্ম-তত্ত্ব সকল এরূপ চমৎকার ভাবে আলোচনা পূর্বক তর্ক করিতে লাগিলেন যে তন্ত্রে রামমোহনের অসাধারণ বুৎপত্তি দেখিয়া পণ্ডিত অবাক হইলেন এবং শেষে পরাস্ত হইয়া প্ৰস্থান করিলেন । এদিকে এই সকল ঘটনায় বিদ্যা বুদ্ধি পাণ্ডিত্যে সকলকে যতই হারাইতে লাগিলেন, ততই তঁহার মনে সমাজের ও ধৰ্ম্মের কুসংস্কার সকল দূর করিবার জন্য ঐকান্তিক আগ্ৰহ জন্মিল, তিনি যেখানে সেখানে যার তার সঙ্গে তর্ক করিয়া সমাজের ও ধৰ্ম্মের দোষ দেখাইতে আরম্ভ করিলেন । দেশে যেটা যুগ-যুগান্তর হইতে পুরুষানুক্রমে লোকের হাড়ে হাড়ে গাঁথিয়া গিয়াছে—সে সংস্কার সহসা দূর করা বড় সহজ কথা নয়। বাপ-ঠাকুরদাদা যাহা চিরকাল করিয়া গিয়াছেন-যে পথে চলিয়া গিয়াছেন-লোকে তাহাই করিতে চায়, সেই পথেই চলে। যদি কেহ কখনো