পাতা:রাজা রামমোহন - দেবেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 রাজা রামমােহন । তিনি দেখিলেন যে সংসারে খুব মান্য গণ্য সন্ত্রান্ত হইতে না পারিলে, উচ্চ-রাজপদে না বসিতে পারিলে, সহজে লোকে বশীভূত হইবে না। আর লোকে বশীভূত না হইলে তিনি কিছুতেই ধৰ্ম্ম ও সমাজের সংস্কার করিতে পরিবেন না। শুধু বিদ্যাবুদ্ধি ও পাণ্ডিত্যে এ কায হইবার নয়, তাহার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চপদ ও সম্মান লাভ করা আবশ্যক। এই ভাবিয়া তিনি কোন উচ্চ রকমের রাজকাৰ্য্যে ভৰ্ত্তি হইবার ইচ্ছা করিলেন । তখন “ডিগবী” সাহেব রংপুরের কালেকটার। রামমোহনের সহিত বিস্তর বড় বড় সাহেব সুবোর পরিচয় ছিল-তাহারা তাহাকে যথেষ্ট আদর ভক্তি ও সম্মান করিতেন। ডিগবী সাহেবও তঁহাকে ভালরকম চিনিতেন ও জানিতেন । রামমোহন চাকরি করিবার ইচ্ছায় ডিগবী সাহেবের কাছে দরখাস্ত করিলেন । কিন্তু সে দরখাস্তে লিখিলেন যে-চাকরি স্বীকার করিলেও-তিনি উপরওয়ালাদের কাহারও কাছে হীনতা স্বীকার করিবেন না, সকলের সঙ্গে তাহাকেও বসিবার জন্য সমানভাবে চেয়ার দিতে হইবে, তিনি কাহারও সম্মুখে সেলাম ঠুকিয়া ঘাড় নীচু করিয়া দাড়াইতে পরিবেন না । এই দরখাস্ত পড়িয়া সাহেব আশ্চৰ্য্য হইলেন। রামমোহনের বয়স তখন চব্বিশ বৎসর। সেই যুবকের নির্ভীকতা, তেজস্বিতা, আত্মসম্রামবোধ দেখিয়া অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলেন এবং তখনই তঁহাকে এক উচ্চ সম্মানের কার্য্য দিলেন । চবিবশ বৎসর বয়সে রামমোহন রাজকাৰ্য্যে ভৰ্ত্তি হইলেন । র্তাহার বিদ্যা, বুদ্ধি, পাণ্ডিত্য, সত্যনিষ্ঠা, মনের বল, সৎসাহস সকলই অদ্ভুত রকমের । সেই সকলের সাহায্যে তিনি এমনভাবে কাৰ্য্য করিতে লাগিলেন, যে বৃদ্ধ বহুদৰ্শী-রাজকৰ্ম্মচারিগণও সেরূপ পারেন না, সুতরাং