পাতা:রাজা রামমোহন - দেবেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ তিব্বতে বাসের কালে রামমোহনের প্রাণে স্ত্রীলোকদিগের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সম্মান জাগিয়া উঠিয়াছিল। ধৰ্ম্ম-সংস্কার করিবার পরে তিনি সমাজ-সংস্কার ব্ৰতে লাগিলেন। স্ত্রীলোকদের দুঃখ দূর করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইলেন । সেই সময়ে হিন্দুদিগের প্রাচীন ভ্ৰান্ত-সংস্কারপূর্ণ সামাজিক কু-প্ৰথা সতীদাহ’ তাঁহার প্রাণে বিষম শেলাঘাত করিল। তিনি সেই প্ৰথা উঠাইয়া দিবার জন্য প্ৰাণপাত চেষ্টা ও পরিশ্রম করিতে লাগিলেন। যে সকল সতী সাধবী মহিমময়ী রমণী স্বামীর মৃত্যুতে ইচ্ছাপূর্বক আপনি জীবন বলি দিতে চাহেন—তাহাদের কথা স্বতন্ত্র। কিন্তু অধিকাংশ স্থলেই—অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও—স্বামীর মৃত্যুর পরে স্ত্রীকে জোর করিয়া বঁাধিয়া জীবন্ত দগ্ধ করা হইত। এ ব্যাপারে রামমোহন শিহরিয়া উঠিলেন । তিনি বুঝিলেন যে ধৰ্ম্মের দোহাই দিয়া হিন্দু সমাজের ভিতর এত বড় একটা পৈশাচিক নৃশংস কাৰ্য্য অনায়াসে চলিয়া যাইতেছে, श्ा नब्रश्डा डिन्न आब्र किछूछे नाश्। कि श्ब्रांड, कि कब्रागैी, ওলন্দাজ, গ্ৰীক, পটুগিজ প্রভৃতি সমস্ত বিদেশবাসী হিন্দুদের এই কু-প্ৰথা দেখিয়া মনে মনে শিহরিয়া চক্ষু বুজিয়াছেন-এ সম্বন্ধে নিন্দাবাদ করিয়া বিস্তর পুস্তক লিখিয়াছেন, কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় নাই। পাছে হিন্দুদের ধৰ্ম্মে এবং সমাজ-প্রথার উপর হস্তক্ষেপ করা হয়। সেই ভাবিয়া মহামতি ইংরাজরাজ এ বিষয়টা গ্ৰাহ করেন নাই। সুতরাং ধৰ্ম্মের নামে এই ভয়ানক পৈশাচিক নারীহতা সমানভাবে চলিয়া আসিতেছিল ।