পাতা:রাজা - শিবেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S e বাজল" (2ध्दंग टक्क চাদের চোখে লেগেছে ঘুম লঘু মেঘের আভরণ বলাকার। আসছে ছাডি কুহেলিকার অলিঙ্গন ॥ [ রাজনটীর প্রস্থান ] রাজা । সত্যি যেন আজ আমার অন্তর ধুয়ে গেছে শিশিরে । এই হেমস্ত আর বসন্ত এলা যেন শীতের দুই সঙ্গম বেণী । বসন্তে মুক্ত বেণী, আর হেমন্তে যুক্ত বেণী । বসন্তে যে সুব হারিয়ে যায় আলোর শতদলে, রঙ্গের সপ্ত ধারাষ, হেমন্তে সে সুর ফিরে আসে কলকাকলীহীন স্তব্ধতায় । এদের একজন যেন চঞ্চল নেসাচপলা নৃত্যপরা তরুণী দেবদাসী, আর একজন ভাববিহবল কুমাৰী তপস্বিনী । দুই জনকেই আমার ভাল লাগে, রাণী । রাণী । মুহারাজ ! মলয় বিজয়ের কি খবর এলো । রাজা । ওসব যুদ্ধ বিদ্রোহের কথা তোমার জেনে লাভ কি অলকানন্দ ! রাণী । সেকি মহালাজ, আমি যে রাণী ; এ রাজ্যের জননী । রাজা । বেশ, বেশ, বেশ । তবে তোমার ভাবী ভীরু মলয় সস্তানদের কথা শোনো । তারা করেছে কি জানো ? মগধের সঙ্গে যুদ্ধ করেনি প্রাণ ভয়ে পালিয়ে গেছে নগব ছেডে উদয়গিরিতে । আচ্ছা মহারাণী, সত্যিই কি তুমি তাদের ম৷ হ’তে চাও ? খারা প্রতিবাদ করে না, বাধা দেয় না, নিজেদের সর্বস্ব ছেড়ে কেবল প্রাণ ভয়ে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রাণই কি তাদের সব ? রাণী । হা মহারাজ, প্রাণই বোধ হয় তাদের সব । আমি যদি তাদের সত্যিকারের জননী হ’তে পারি, পৃথিবীর মায়ের জাত আমাকে র্ত হ’লে পূজো করবে। 疊