পাতা:রাজা - শিবেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দৃশু রাজলY סיכל কিন্তু প্রভু দাসীর অপরাধ নিও না তাতে যেন, মনে হয় তোমার পুলক আরও বেড়ে যায়। রাজা। সত্যিই , অলকা, তুমি ঠিক বলেছে, তাতে আমার পুলক ভিতর থেকে কেমন যেন আপনিই বেড়ে ওঠে, যেমন করে নদীর বক্ষ থেকে বালির চর জেগে ওঠে তেমনি করে। সত্যি বলছি অলকা, অতগুলো পুরুষের মধ্যে দিয়ে যখন তোমার মত সাগর ছচি সুন্দরীকে পাশে নিয়ে চলি তখন আমার মনে হয় ওরা আমায় হিংসা করুক খুব করে হিংসা করুক, সেইটাই আমার গৌরব, সেইটাই আমার গৰ্ব্ব । রাণী । ছিঃ মহারাজ । রাজা । ছিঃ নয় রাণী । ওদের ভাবতে দাও ওদের রাজা কত ঐশ্বৰ্য্যবান। যেদিন স্বয়ম্বর সভা থেকে তোমাকে নিয়ে আসি সেদিন কে যেন আমায় শুনিয়ে শুনিয়ে বলেছিল, যুদ-ওরকম রাণীর মত বরফের দেশের সুন্দরী পাই ত ওর মত রাণী করে অস্তঃপুরে রাখতে চাই না, বুক ফুলিয়ে লোকের মাঝে দেখিয়ে বেড়াতে চাই আমি কত বড় সৌন্দর্য্যের অধিকারী। রাণী । রক্ষা কর, রক্ষা কর; মহারাজ । ওসব কদৰ্য্য আলোচন। বন্ধ করে দাও । রাজা । বেশ তাই হ’ল । আজ আর রাজপথে কাজ নেই, চল আমরা মধুবনের কেতকী কুঞ্জে যাই । রাণী । তাই চল মহারাজ। সেইখানেই আমি তোমায় সব চেয়ে নিকটে পাই। যখনি দেখি কুঞ্জে কেবল তুমি আর আমি, তখনি মনে হয়, দেবতা আমার পাথরের ভূপ নয় সে যেন জীবন্ত মুক্তিময়। তাই চল প্ৰভু কেতকী কুঞ্জেই চল ।