কোচবান্। প্রত্যহই গাড়ি ভাড়ায় যাইতেছে; বড়বাজারে কে গিয়াছিল, তাহা এখন কিরূপে স্থির করিব?
কর্ম্মচারী। দুইখানি গাড়ি গিয়াছিল। একখানি জুড়ি গাড়ি, তাহাতে একজন রাণী ছিলেন। সেই রাণী বড়বাজারে একজন জহরত-বিক্রেতার দোকানে গমন করিয়া অনেকগুলি জহরত খরিদ করিয়াছিলেন। আর একখানি কম্পাস গাড়ি; বড়বাজারে গমন করিবার সময় উহাতে কেবলমাত্র একটী লোক গমন করিয়াছিল, কিন্ত আসিবার সময় তাহাতে দুইজন আগমন করেন, এবং তাহাদের সহিত সেই জহরতের বাক্সও আনা হয়। এরূপ অবস্থায় যদি আপনি এইখানকার সহিস-কোচবানগণকে জিজ্ঞাস করেন, তাহা হইলে বোধ হয়, তাহাদিগের সন্ধান নিশ্চয়ই অনায়াসে হইতে পারে।
কোচবান্। সে আজ কয়দিবসের কথা?
কর্ম্মচারী। প্রায় আট দশদিবন হইবে।
কর্ম্মচারীর এই কথা শুনিয়া সেই কোচবান্ সেই স্থানে যে সকল সহিস-কোচবান্ উপস্থিত ছিল, তাহাদিগের প্রত্যেককেই জিজ্ঞাস করিলেন। উহাদিগের মধ্যে একজন সহিস কহিল, “আজ আট দশদিবস হইল, কোন রাণীকে সোয়ারী দিবার নিমিত্ত লাল বড় জুড়িতে হোসেনী কোচবান্ যেন গমন করিয়াছিল, এইরূপ আমার মনে হইতেছে।”
কোচবান্। হোসেনী, কোন্ হোসেনী?
সহিস। বড় লাল জুড়ি যে হোসেনী হাঁকাইয়া থাকে।
কোচবান্। দেখ দেখি, হোসেনী এখন আছে, কি সোয়ারীতে বাহির হইয়া গিয়াছে।