পাতা:রাণী ভবানী - হারাণচন্দ্র রক্ষিত.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম পরিচ্ছেদ । S \) VF IV" বিবাহের পর রামকান্ত পত্নীকে কিছু কিছু লেখাপড়া শিখাইলেন। তীক্ষাবুদ্ধিশালিনী, অসাধারণ প্ৰতিভাবতী ভবানী, অতি অল্প আয়াসেই, সুনামি-প্ৰদত্ত শিক্ষা আয়ত্ত করিয়া ফেলিলেন । পরন্তু সেই শিক্ষা অপেক্ষা, জন্মার্জিত সংস্কার "ণ্ঠাহার জীবনে অধিক কাৰ্যকর হইয়াছিল। তাই তঁহার এই শিক্ষার বিষয়, কাহারও বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করে নাই। রাজ-পুত্রবধু হইলেও,-দাস দাসী সদা যোড়-হস্তে দণ্ডায়মান থাকিলেও, স্বামি-পরিচর্য্যা ও স্বামীর নিত্যপ্ৰয়োজনীয় কাজ"গুলি, ভবানী নিজহস্তেই করিতেন, -কাহাকেও করিতে দিতেন না। প্ৰতিদিন স্বামীর পাদোদক, দেব-চরণামৃতবোধে পান করিয়া কৃতাৰ্থ হইতেন। সে সময়ে তাহার সেই ভক্তিগাম্ভীৰ্য্যময়ী মূৰ্ত্তি দেখিয়া, রামকান্ত কেমন আকৃষ্ট হইয়া পড়িতেন,-"তাহার মুখে আর বাক্যদুস্ত্ৰণ হইত না। তিনি মনে মনে বলিতেন,-“সত্যই কি ভবানী আমার মানবী-না ছদ্মবেশিনী কোন দেব-বালা-স্ত্রীরূপে আমায় ছলিতে ८िछ्ञ १° স্বামীকে যেমন, বৃদ্ধ শ্বশুরকেও ভবানী সেইরূপ ভক্তিশ্রদ্ধা করিতেন। মহারাজ রামজীবন পুলবধুর সে পরিচর্য্যা ও সেবাব্ৰত দেখিয়া,-সাংসারিক সকল কাৰ্য্যে বধুমাতার দূরদৃষ্টি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া, অপারে আনন্দ-সলিলে নিমগ্ন হইতেন। বিশেষ, পরিবারস্থ সকলকেই ভবানী কি এক স্নেহসূত্রে আবদ্ধ করিয়াছেন,-তাহার মাতৃভাবপূর্ণ মধুর ব্যবহারে সকলেই কেমন তাহার প্রতি আকৃষ্ট হইয়া শান্ত ও পবিত্রভাব ধারণ করিয়াছে যে, তাহ দেখিয়া বুদ্ধের নয়ন-কোণে জল আসিত ।