পাতা:রাণী ভবানী - হারাণচন্দ্র রক্ষিত.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Šტხr- রাণী ভবানী । অন্ধকার, গ্রীষ্মের পর বর্ষা, জীবনের পর মৃত্যু-পৰ্য্যায়ক্রমে হইয়া আসিতেছে। সুখ দুঃখ ও সেই পৰ্য্যায়ভুক্ত। এ নিয়ম কে রোধ করিবে ? গৌরী।-কে রোধ করিবে, তা জানি না। কিন্তু আমার মনে হয়, জগৎ হইতে হিংসাবৃত্তি উঠিয়া গেলেই ধরার ভার অৰ্দ্ধেক লাঘব হয়। দুৰ্ব্বলের প্রতি প্রবলের যে অত্যাচার, তাহার মূলেও হিংসা। এই হিংসাই সৰ্ব্ব অনার্থের মূল। দেখ, স্বজাতির প্রতি স্বজাতির হিংসা, যেন প্ৰকৃতিগত একটা ধৰ্ম্ম । মানুষ মানুষের প্রতি হিংসা করে, পক্ষী পক্ষীর প্রতি হিংসা করে ;-কীটপতঙ্গাদি পৰ্য্যন্ত এ নিয়মে বাদ পড়ে না । শিবানী -এই হিংসার মূল কোথায়, ভাবিয়াছ কি ? গৌরী। ভাবিয়াছি,-স্বাৰ্থ আত্মরক্ষা ও আত্মপ্রাধান্যের জন্যই এই স্বাৰ্থ অবলম্বন করিতে হয়। ছোটটি হইতে বড়টি BDSSYDSDBDB BB DB DBDDSSiD BB DiDBDS বাজপক্ষী যে পায়রাটিকে বিনষ্ট করিল,-ইহাও তাহার জীবধৰ্ম্মের ফল-সেই স্বার্থ। এই স্বাৰ্থ বর্জন করিতে হইবে । বিধাতার চরম সৃষ্ট-মানবকে ইহার আদর্শস্থানীয় হইতে হইবে। কেননা, মানব-মনেই ভগবান বিবেকবুদ্ধি ও ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি দিয়াছেন, --অন্য জীব তাহাতে বঞ্চিত । সেই জন্যই মানবের সারধৰ্ম্ম “জীবে প্ৰেম, স্বাৰ্থ ত্যাগ, ভক্তি ভগবানে।” বড় হইয়া আমি এই মহাধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিব। শিবানী-গ্ৰহণ করিব কেন বলিত্ছে, ইতিমধ্যেই তুমি তাৰ্থ গ্ৰহণ করিয়াছ। জীবে প্রেম ও ভগবানে ভক্তি না হইলে