পাতা:রাতকাণা - নির্ম্মলশিব বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাতকাণা Ꮌ☾ পুটলি স্কন্ধে গোবৰ্দ্ধনের প্রবেশ গোবৰ্দ্ধন । কান্ত এসেছে রে ব্যাটারা—কান্থ এসেছে । তবে শুধু কি বেণু বাজাবে—রাধার কুঞ্জেও যাবে। পা ঝেড়ে চটিটা এই সময় প’রে ফেলি, নইলে ব্যাটারা অসভ্য চাষা মনে করবে। ( চটি প’রিল ) কিন্তু ( পশ্চিম দিকে চাহ্যিা ) এদিকে যে সন্ধ্যে হয়ে এল ! ও বাবা:—কি করি ? এরই মধ্যে যে ঝাপসা ঝাপসা লাগছে। তাই ত, রাখাল ব্যাটারাও ত গরু নিয়ে ঘর পানে চললো । ( রাখালগণের প্রস্থান) কই, কাচুর বেণু বাজাবার জন্তে ত একটুও সবুর করলে না । তাই ত, এখন গা ঢুকি কি করে ? ওরে বাবা, কি ক’রে গ ঢুকি ? (কাণার মত এদিক ওদিক করিতে করিতে একটি পরিত্যক্ত-গরুর খুব নিকটবৰ্ত্তী হইল ও ভয়ে চমকাইয়া উঠিল) ওরে বাবা! এটা আবার কি ? ( গায়ে হাত বুলাইয়া বুঝিয়া ) এ যে গরু দেখছি! হায়, হায়, দেখছি আর কৈ, ইসারায় বুঝছি। বেণু বাজে নাই, তাই পেট ভরে নাই, তাই বুঝি এটা পাল থেকে ছিটকে এখনও ঘাস খাবার চেষ্টায় আছে। নিশ্চয় এই গায়ের গরু। আহা ! বেশ স্ববুদ্ধি গরুটা ত! এইটারই ল্যাজ ধরে তাড়ান যাকৃ—নইলে