$२ ब्रछर्नेौ অমরনাথের এ বড় স্পন্ধা! আমি একবার অমরনাথকে কিছু শিক্ষা দিয়াছি—আর একবার না হয় কিছু দিব। আমি যদি কায়েতের মেয়ে হই, তবে অমরনাথের নিকট হইতে এই রজনীকে কাড়িয়া লইয়া, আমার ছেলের সঙ্গে বিবাহ দিব। আমি অমরনাথের সকল গুণ জানি। অমরনাথ অত্যন্ত ধূৰ্ত্ত—তাহার সঙ্গে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলে বড় সতর্ক হইয়া কাজ করিতে হয়। আমি সতর্ক হইয়াই কাৰ্য্য আরম্ভ করিলাম। - প্রথমে রাজচন্দ্র দাসের স্ত্রীকে ডাকিয়া পাঠাইলাম। সে আসিলে জিজ্ঞাসা করিলাম,
- কেন গা س"
মালী বেী-রাজচন্দ্রের স্ত্রীকে আমরা আজিও মালী বেী বলিতাম, রাগ না হইলে বরং বলিতাম না, রাগ হইলেই মালী বে। যলিতাম—মালী-বোঁ বলিল, “কি গা ?” আমি। মেয়ের বিয়ে নাকি অমর বাবুর সঙ্গে দিবে ? মালী বে। সেই কথাই ত এখন হচ্চে। আমি । কেন হচ্চে ? আমাদের সঙ্গে কি কথা হইয়াছিল ? মালী বে। কি করব মা—আমি মেয়ে মানুষ, অত কি জানি ? মাগীর মোট বুদ্ধি দেখিয়া আমার বড় রাগ হইল—আমি বলিলাম, “সে কি মালী বে ? মেয়ে মামুষে জানে না ত কি পুরুষ মামুষে জানে ? পুরুষ মানুষ আবার সংসার ধৰ্ম্ম কুটুম্ব কুটুম্বিতার কি জানে ? পুরুষ মানুষ মাথায় মোট করিয়া টাকা বহিয়া আনিয়া দিবে এই পৰ্য্যস্ত—পুরুষ মানুষ আবার কৰ্ত্তা না কি ?” o বোধ হয়, মাগীর মোটাবুদ্ধিতে আমার কথাগুলা অসঙ্গত বোধ হইল—সে একটু হাসিল। আমি বলিলাম, “তোমার স্বামীর কি মত—আমরনাথের সঙ্গে মেয়ের বিবাহ দেন ?” মালী বেী বলিল, “তার মত নয়—তবে অমরনাথ বাবু হইতেই রজনী বিষয় পাইয়াছে —র্তার বাধ্য হইতেই হয়।” আমি । তবে অমরনাথ বাবুকে বল গিয়া, বিষয় রজনী এখনও পায় নাই। বিষয় আমাদের ; বিষয় আমরা ছাড়িব না। পার, তোমরা বিষয় মোকদ্দমা করিয়া লও গিয়া। মালী বে। সে কথা আগে বলিলেই হইত। এত দিন মোকদম উপস্থিত হইত। আমি। মোকদ্দমা করা মুখের কথা নহে। টাকার শ্রাদ্ধ। রাজচন্দ্র দাস ফুল বেচিয়া কত টাকা করিয়াছে ? মালী বেী রাগে গর গর করিতে লাগিল । সত্য বলিতেছি, আমার কিছুই রাগ হয় নাই। মালী বে একটু রাগ সামলাইয়া বলিল, “অমর বাবু আমার জামাই হইলেই বিষয়