পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ খণ্ড প্রথম পরিচ্ছেদ - స్ప్రిథీ বাবুর হুইবে । তিনি টাকা দিয়া মোকদ্দমা করিতে পারেন, তাহার এমন শক্তি !" এই বলিয়া মালী বেী উঠিয়া যায়, আমি তাহার আঁচল ধরিয়া বসাইলাম। মালী বে হাসিয়া বসিল। আমি বলিলাম,“অমর বাবু মোকদ্দমা করিয়া বিষয় লইলে তোমার কি উপকার ”ি মালী বে। আমার মেয়ের সুখ হবে। আমি। আর আমার ছেলের সঙ্গে তোমার মেয়ের রিয়ে হলে বুঝি বড় দুঃখ হবে ? মালী বে। তা কেন ? তবে যেখানে থাকে, আমার মেয়ে স্বৰী হইলেই হইল। * আমি । তোমাদের নিজের কিছু সুখ চাহি না ? মালী বে। আমাদের আবার কি সুখ ? মেয়ের মুখেই আমাদের স্বখ । আমি ৷ ঘটকালীট ? মালী বেী মুখ মুচকিয়া হাসিল। বলিল, “আসল কথা বলিব মা ঠাকুরাণি! এখানে বিয়েয় মেয়ের মত নাই ।” আমি । সে কি ? কি বলে ? মালী বেী। এখানকার কথা হইলেই বলে, কাণার আবার বিয়েয় কাজ কি ? আমি । আর অমরনাথের সঙ্গে বিয়ের কথা হইলে ? মালী বে। বলে, ওঁ হতে আমাদের সব । উনি যা বলিবেন, তাই করিতে হইবে। আমি। তা বিয়ের কন্যার আবার মতামত কি ? মা বাপের মতামত হইলেই . झहेल । মালী বে। রজনী ত ক্ষুদে মেয়ে নয়, আর আমার পেটের সন্তানও নয়। আর বিষয় তার, আমাদের নয়। সে আমাদের হাকাইয়া দিলে আমরা কি করিতে পারি ? বরং তার মন রাখিয়াই আমাদের এখন চলিতে হইতেছে। আমি ভাবিয়া চিন্তিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম—“রজনীর সঙ্গে অমরনাথের দেখা শুনা হয় কি ?” মালী বে। না । অমর বাবু দেখা করেন না । , অামি । আমার সঙ্গে রজনীর একবার দেখা হয় না কি ? মালী বে। আমারও তাই ইচ্ছ। আপনি যদি তাহাকে বুঝাইয় পড়াইয় তাহার মত করাইতে পারেন । আপনাকে রজনী বিশেষ ভক্তি শ্রদ্ধ করে।