আমি। তবু একবার স্বরণ করিয়া দেওয়া ভাল। ক্ষণেক পরে, চোরের জলক্ষ্যে । আমার সঙ্কেতাকুসারে পরিচারিক বাহিরে গিয়া দ্বারবাকে ডাকিয়া লইয়া সিধমুখে দাড়াইয়া রহিল। আমিও সময় বুঝিয়া, বাহিরে প্রয়োজন ছলনা করিয়া নির্গত হইয়া, বাহির হইতে একমাত্র দ্বারের শৃঙ্খল বদ্ধ করিলাম। মন্দ করিয়াছিলাম ? , অমরনাথ বলিল, “এ সকল কথা কেন ?” আমি। পরে চোর নির্গত হইল কি প্রকারে বল দেখি ? ডাকিয়া পাড়ার লোক । জমা করিলাম। বড় বড় বলবান আসিয়া চোরকে ধরিল। চোর লজ্জায় মুখে কাপড় দিয়া রছিল। আমি দয়া করিয়া তাহার মুখের কাপড় খুলাইলাম না, কিন্তু স্বহস্তে লোহার শলা তপ্ত করিয়া তাহার পিঠে লিখিয়াছিলাম, - “চোর po অমরবাবু, অতি গ্রীষ্মেও কি আপনি গায়ের জামা খুলিয়া শয়ন করেন না ? टा ! नl ? আমি। লবঙ্গলতার হস্তাক্ষর মুছিবার নহে। আমি রজনীকে ডাকিয়৷ এই গল্প শুনাইয়া যাই ইচ্ছা ছিল, কিন্তু শুনাইব না। তুমি রজনীর যোগ্য নহ, রজনীকে বিবাহ করিতে চেষ্টা পাইও না। যদি ক্ষান্ত না হও, তবে সুতরাং শুনাইতে বাধ্য হইব। অমরনাথ কিছুক্ষণ ভাবিল। পরে দুঃখিতভাবে বলিল, “শুনাইতে হয় শুনাইও। তুমি শুনাও বা না শুনাও, আমি স্বয়ং আজি তাহাকে সকল শুনাইব। আমার দোষ গুণ সকল শুনিয়া রজনী আমাকে গ্রহণ করিতে হয়, গ্রহণ করিবে ; না করিতে হয়, না করিবে । আমি তাঁহাকে প্রবঞ্চনা করিব না।” 坪 আমি হারিয়া, মনে মনে অমরনাথকে শত শত ধন্যবাদ করিতে করিতে, হৰ্ষবিষাদে ঘরে ফিরিয়া আসিলাম । পঞ্চম পরিচ্ছেদ । শচীন্দ্রনাথের কথা ঐশ্বৰ্য্য হারাষ্টয়, কিছু দিন পরে আমি পীড়িত হইলাম। ঐশ্বৰ্য্য হইতে দারিদ্র্যে পতনের আশঙ্কায় মনে কোন বিকার উপস্থিত হইয়াছিল বলিয়, কি কিজষ্ঠ এই পীড়ার উৎপত্তি, তাহ আমি বলিবার কোন চেষ্টা পাইব না। কেবল পীড়ার লক্ষণ বলিব।
পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।