श्iंश्च श्७ ३ बॆिङौश्न श्iग्नेिट्घ्छ्रतः। br● রজনীর কথা একদিনও শচীশ্রের মুখে শুনি নাই। কিন্তু ইহা দেখিয়াছি যে, যে দিন হইতে রজনী অাসিয়াছিল, সেই দিন হইতে র্তাহার পীড়া উপশমিত হইয়া আসিতেছিল। . একদিন, যখন আর কেহ শচীত্রের কাছে ছিল না, তখন আমি ধীরে ধীরে বিনা আড়ম্বরে রজনীর কথা পাড়িলাম। ক্রমে তাহার অন্ধতার কথা পাড়িলাম, অন্ধের দুঃখের কথা বলিতে লাগিলাম, এই জগৎসংসারশোভা দর্শনে সে যে বঞ্চিত,—প্রিয়জনদর্শনমুখে সে যে আজন্মমৃত্যুপৰ্য্যন্ত বঞ্চিত, এই সকল কথা তাহার সাক্ষাতে বলিতে লাগিলাম। দেখিলাম, শচীন্দ্র মুখ ফিরাইলেন, তাহার চক্ষু জলপূর্ণ হইল। অনুরাগ বটে। তখন বলিলাম, “আপনি রজনীর মঙ্গলাকাজী। আমি সেই জন্যই একটি কথার পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিতে চাই। রজনী একে বিধাতাকর্তৃক পীড়িত, আবার আমাকর্তৃক আরও গুরুতর পীড়িত হইয়াছে।” শচীন্দ্র আমার প্রতি বিকট কটাক্ষ নিক্ষেপ করিলেন । আমি বলিলাম, “আপনি যদি সমুদয় মনোযোগপূর্বক শুনেন, তবেই আমি বলিতে প্রবৃত্ত হই।” শচীন্দ্র বলিলেন, “বলুন।” আমি বলিলাম, “আমি অত্যন্ত লোভী এবং স্বার্থপর। আমি তাহার চরিত্রে মোহিত হইয়া, তাহাকে বিবাহ করিতে উদ্যোগী হইয়াছি। সে আমার নিকট বিশেষ কৃতজ্ঞতাপাশে বদ্ধ ছিল, সেই জন্ত আমার অভিপ্রায়ে সম্মত হইয়াছে।” শচীন্দ্র বলিলেন, “মহাশয়, এ সকল কথা আমাকে বলিতেছেন কেন ?” আমি বলিলাম, “আমি ভাবিয়া দেখিলাম, আমি সন্ন্যাসী, আমি নানা দেশ ভ্রমণ করিয়া বেড়াই ; অন্ধ রজনী কি প্রকারে আমার সঙ্গে দেশে দেশে বেড়াইবে ? আমি এখন ভাবিতেছি, অন্য কোন ভদ্রলোক তাহাকে বিবাহ করে, তবে মুখের হয়। আমি তাহাকে অন্য পাত্রস্থ করিতে চাই। যদি কেহ আপনার সন্ধানে থাকে, সেই জন্য আপনাকে এত কথা বলিতেছি।” শচীন্দ্র একটু বেগের সহিত বলিলেন, “রজনীর পাত্রের অভাব নাই।” আমি বুঝিলাম, রজনীর বরপাত্র কে।
পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।